• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

নারীদের লাল লিপস্টিক পরা নিষিদ্ধ যেখানে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
নারীদের লাল লিপস্টিক পরা নিষিদ্ধ যেখানে
ছবি: সংগৃহীত

সাজের অন্যতম প্রসাধনী লিপস্টিক। লিপস্টিক ছাড়া নারীর সাজ যেন অপূর্ণই রয়ে যায়। প্রায় অধিকাংশ নারীই প্রিয় হচ্ছে লাল লিপস্টিক। হালকা রঙের পোশাকের সঙ্গে গাঢ় লাল রঙের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙাতে সব বয়সের নারীই পছন্দ করে। কিন্তু জানেন কি, বিশ্বের একটি দেশের নারীরা লাল লিপস্টিক পরা একদমই পছন্দ করেন না। এমনকি সেদেশে লাল লিপস্টিক রীতিমতো নিষিদ্ধ।

দেশটি হচ্ছে উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের একচ্ছত্র একনায়কত্ব রয়েছে। সেখানে তার প্রণয়ন করা উদ্ভট আইন চলে। যা মানতে বাধ্য করা হয় দেশটির জনগণকে। নানাবিধ উদ্ভট আইনের মধ্যে ফ্যাশন নিয়েও আইনের প্রচলন রয়েছে সেখানে। সেই আইন মেনেই ফ্যাশন করতে হয়। ফ্যাশন আইন মানতে ব্যর্থ হয় কঠোর শাস্তি দেওয়ার রীতিও রয়েছে।

সেই ফ্যাশন আইনেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে লাল রঙের লিপস্টিক। শুধু তাই নয়, দেশটিতে বিশ্বের বেশিরভাগ জনপ্রিয় ফ্যাশন এবং প্রসাধনী ব্র্যান্ডও নিষিদ্ধ রয়েছে।

 

লাল রঙের লিপস্টিক নিষিদ্ধের এই আইন স্বৈরশাসকের আদর্শের গভীরে প্রোথিত। কারণ লাল রঙকে মুক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও লাল লিপস্টিক পরা নারীদের আকর্ষণীয় দেখায়। যা দেশটির নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটাতে পারে বলে বলা হয় সেই আইনে।

দেশটির সরকার রক্ষণশীল। তাই সরকার প্রধান কিম জং উন নারীদের লাল লিপস্টিক পরা নিষিদ্ধ করেন। এমনকি সেই দেশের নারীরা আকর্ষণীয় মেকআপও করতে পারবেন না বলে জানানো হয়। নারীদের সাজে শুধুমাত্র সাধারণ মেকআপই প্রাধান্য পাবে।

এমনকি নারীদের চুলের স্টাইল করারও বিষয়েও আইন রয়েছে সেদেশে। সেখানে নারীদের লম্বা চুল রাখা এবং কোনো হেয়ারস্টাইল করার অনুমতি নেই। নারীদের চুল কেটে ছোট করে রাখতে হবে। এমনকি নারীদের চুলে রং করাও নিষিদ্ধ সেদেশে। পুরুষদের জন্য ১০টি এবং নারীদের জন্য ১৮টি সীমিত সংখ্যক চুলের স্টাইল করার অনুমতি রয়েছে। অনুমোদিত চুলের স্টাইল করতে পারবে। যারা তা অনুসরণ করবে না তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।

এছাড়াও দেশটিতে ছেলেদের নীল জিন্স পরাও নিষিদ্ধ। নীল রং তাদের আমেরিকার কথা মনে করিয়ে দেয় বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

উত্তর কোরিয়ায় ব্যক্তিগত ফ্যাশন সম্পর্কিত এসব আইন অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। কারণ সেদেশের সরকার বিশ্বাস করে, দেশটির জনগণের উপর আধিপত্য বজায় রাখতে এবং বহিরাগত প্রভাব ঠেকাতে রক্ষণশীল পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সরকার ফ্যাশন সম্পর্কিত এসব আইনের প্রয়োগ যাচাই করতে বিশেষ কর্মীও নিয়োগ দিয়েছে। কর্মীরা ফ্যাশন সম্পর্কিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করে দেখেন। কোনো নাগরিক সেই আইন ভঙ্গ করলে উপযুক্ত শাস্তিও দেওয়া হয়।

 

সূত্র: এনডিটিভি

Link copied!