• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬, মোটরসাইকেলেই ১৭২


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৩, ০৪:০০ পিএম
সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৬, মোটরসাইকেলেই ১৭২

রাজধানীসহ সারা দেশে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সড়ক, রেলপথ ও নৌপথ দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৭২ জন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌ ও রেলপথে ৪৬৭ দুর্ঘটনায় ৪৯৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৮১ জন। এসময়ে ৪০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৭ জন নিহত ও ৬৫১ জন আহত হন। এছাড়া রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও ২৬ জন আহত এবং নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৪ আহত ছাড়াও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য দুইজন, বিজিবি সদস্য একজন, সেনাবাহিনীর একজন, নৌবাহিনীর একজন, চিকিৎসক দুইজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনজন, সাংবাদিক দুইজন, বিভিন্ন পরিবহনের চালক ১০৭ জন, পথচারী ৫৮ জন, নারী ৪৩ জন, শিশু ৩৪ জন, শিক্ষার্থী ২৮ জন, পরিবহন শ্রমিক ১২ জন, শিক্ষক আটজন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সাতজন।

এতে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এ বিভাগে ১১৪টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ বিভাগে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনটি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে তৈরি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে সংস্থাটি ট্র্যাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, ট্র্যাফিক বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতি, মহাসড়কে অবাধে যানবাহন চলাচল, সড়কে বাতি না থাকা, বর্ষায় সড়কে গর্তের সৃষ্টি, যানবাহনের ত্রুটি, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানোকে দায়ী করেছে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সেগুলো হচ্ছে, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; রাতে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; রাতে চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা; চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট বড় গর্ত দ্রুত অপসারণ করা; গণপরিবহন বিকশিত করা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।

Link copied!