ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ মাত্রাতিরিক্ত পানি শোষণ করে। গবেষকেরা বলছেন, এই গাছের ফুল ও ফল পাখি খায় না। তাই দেশে নিষিদ্ধ করা হলো এই দুই গাছ।
দেশের সমাজিক বনায়নের ষাট ভাগই হয়েছে বিদেশি এই গাছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে জীববৈচিত্র্যের। তবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা ধ্বংসের বিনিময়ে ভর্তুকি চেয়েছে নার্সারি মালিকেরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন বলেন, বাগানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ১৯২১ সালে সিলেটে প্রথম ইউক্যালিপটাস গাছ নিয়ে আসা হয়। সুদূর অস্ট্রেলিয়ার এই প্রজাতি গেল ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশে শিকড় গেড়ে বসেছে। ৭০-এর দশকের শেষ দিকে আসে আকাশমণি। দ্রুত বর্ধনশীল এবং জ্বালানি কাজে ব্যবহার হয় বলে সামাজিক বনায়নের নামে এই দুই গাছ রোপণ হয়ে আসছে সারা দেশে। তবে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ নিয়ে আছে বিতর্ক। এটি মাত্রাতিরিক্ত ভূগর্ভের পানি শোষণ করে। এর ফল ও ফুল খাওয়া যায় না বলে এ গাছে পাখি বাসা বানায় না।
নার্সারি মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ বলেন, ২০০৮ সালে ইউক্যালিপটাস চারা উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে তা মানা হয়নি। সামাজিক বনায়নের কারণে একে ঘিরে নার্সারি ব্যবসাও গড়ে উঠে। বিশেষ করে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে নার্সারিগুলোতে বেশ জনপ্রিয় ছিল গাছটি। তবে এ বছর আবারও দ্বিতীয় দফায় নিষিদ্ধ হওয়ায় নার্সারি মালিকেরা চান সরকারি ভর্তুকি।