ময়মনসিংহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নগরের ঢোলাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিকেলে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার পরিবার নগরের ঢোলাদিয়া এলাকায় বসবাস করে। চারতলা বাড়িতে রাফিয়ার দাদি, মা ও ভাই এবং ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন।
রাফিয়ার মা জিন্নাত মহল বলেন, গতকাল রাত ২টা ৫৫ মিনিটে দুর্বৃত্তরা বাসার প্রধান ফটকে ককটেল বিস্ফোরণ করে। আশপাশের মানুষ ও তাঁরা শব্দ শুনতে পান। ফটকের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া দাগ দেখা গেছে। আলাদাভাবে আগুন দেওয়া হয়েছিল কি না, বুঝতে পারছেন না। বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। আমার মেয়ে যেহেতু ডাকসু নেত্রী, তাঁর তৎপরতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ ঘটনায় আজ বেলা দুইটার দিকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বিকেলে রাফিয়ার ভাই খন্দকার জুলকারনাইন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘গতকাল রাত ২টা ৫০ থেকে তিনটার মধ্যে বিকট শব্দে আমাদের বাসার সবার ঘুম ভেঙে যায়। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার নিচে এসে দেখি, বাসার গেটের একাংশ পুড়ে কালো হয়ে আছে এবং গেটের সামনে কিছু পোড়া ছাই পাওয়া যায়। বাসার গেটের আশপাশে কেরোসিন ও পেট্রলের গন্ধ পাওয়া যায়। অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ককটেল বিস্ফোরণ করে কেরোসিন ও পেট্রলের মতো দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন লাগায়। এতে গেটের সামনের অংশ পুড়ে যায় এবং আগুন এমনিতেই নিভে যায়।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।































