সংবিধান অনুযায়ী গণভোট না হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী গণভোট ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন মোড়ে ৮ দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন সংবিধানে গণভোটের বিধান নেই। তাদের বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংবিধান সংশোধন করে গণভোটের ধারা বাতিল করেছিলেন শেখ হাসিনা। এখন যারা বলেন সংবিধানে গণভোট নেই, তারা কি তাহলে হাসিনার সুরে কথা বলেন না?’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের কথা সংবিধানে লেখা আছে। ২০২৪ এ যদি নির্বাচন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে নির্বাচন হবে কোথায় লেখা আছে? সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে ২০২৯ সালে।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সমাজকে নতুন ভিত্তিতে শক্তিশালী করতে এবং নতুন বাংলাদেশের পথে যাত্রা শুরু করতে হলে জাতীয় নির্বাচনের আগে সংস্কারের অংশ হিসেবে গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়নও হবে না, সুষ্ঠু নির্বাচনও সম্ভব নয়।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আপনারা আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, বাংলাদেশের জনগণ এ ষড়যন্ত্র বাংলার মাটিতে হতে দেবে না। আসুন সরকারকে বলতে চাই জুলাই সনদ আদেশ জারি করুন।
হামিদুর রাহমান আযাদ বলেন, সংকট সমাধানে আলোচনার পথ জনগণ বন্ধ করেনি, সরকারই রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সেই পথ আটকে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাইনি সংঘাতে যাক। আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান হোক, এটাই ছিল আমাদের অবস্থান। কিন্তু সরকার সে পথে হাঁটেনি। বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক দলের চাপে জনতার আকাঙ্ক্ষাকে স্থবির করে দিয়েছে, যা সরাসরি জনমতের বিপরীত।






























