• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

‘চিন্তা করবেন না ভাই, আল্লাহ ভরসা’, আদালতে ইনুকে দীপু মনি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
‘চিন্তা করবেন না ভাই, আল্লাহ ভরসা’, আদালতে ইনুকে দীপু মনি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার পর এক আবেগঘন মুহূর্তে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “আপনাদের সঙ্গে সম্ভবত আর দেখা হবে না। আমার মামলা ট্রাইব্যুনাল-২ এ নিয়ে গেছে।”

তার এই কথার জবাবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাহস জোগান ইনুকে। তিনি বলেন, “চিন্তা করবেন না ভাই, আল্লাহ ভরসা। বুকে বল রাখেন, মনোবল হারাবেন না।”

দুজনের এই সংলাপের মাঝেই সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান মন্তব্য করেন, “এভাবে ওঠানো-নামানোর নাটক কবে শেষ হবে এদের?”

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর কাঠগড়ায় সাবেক তিন মন্ত্রীর এমন কথোপকথন হয়। জুলাই–আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি পৃথক মামলায় মোট ১৬ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।

কড়া নিরাপত্তায় কেরানীগঞ্জ, কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে তাদের আনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সদস্যরা একে একে অভিযুক্তদের আদালতকক্ষে নিয়ে আসেন।

ট্রাইব্যুনালের কাঁচঘেরা কাঠগড়ার সামনের সারিতে বসেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তার পাশে আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম ও আবদুর রাজ্জাক। মাঝের সারিতে ছিলেন ডা. দীপু মনি, আর তার ঠিক পেছনে হাসানুল হক ইনু। ইনুর পাশে বসেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

কিছু সময় শুনানি শেষে মামলার নতুন তারিখ নির্ধারণ করে আবারও তাদের হাজতখানায় ফেরত পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আরও দুই মাস সময় পেয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৮ ডিসেম্বর।

এদিন আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, এবং কামাল আহমেদ মজুমদার।

দুপুরের দিকে শুনানি শেষে পুলিশ তাদের ফের কারাগারে নিয়ে যায়।

এর আগে গত ২০ জুলাই এ মামলার তদন্তে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন করেন প্রধান প্রসিকিউটর। ট্রাইব্যুনাল সে সময় আবেদন মঞ্জুর করে ১৫ অক্টোবরের দিন ধার্য করেছিল। তবে আজ প্রসিকিউশন পক্ষ প্রতিবেদন জমা না দিয়ে আবারও সময় চায়। আদালত শেষ পর্যন্ত ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করে দেয়।

Link copied!