বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামীতে জনগণই হবে বিএনপির রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। তিনি অভিযোগ করেন, পতিত সরকারের আমলে জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনায় মতামত দেওয়ার অধিকার হারিয়েছিল, লক্ষ লক্ষ গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছিল, গুম-খুন করা হয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে এবং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘তিন কোটি নতুন ভোটার ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। স্বৈরাচাররা ক্ষমতায় টিকে থাকতে গুমের রাজনীতি চালু করেছে এবং মেগা প্রকল্পের নামে দেশে মেগা দুর্নীতি করেছে। বহু মানুষের আত্মত্যাগের ফলে আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। এখন জনগণের প্রত্যাশা-দেশ গড়ে তোলা। ’
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে যদি দেশে অরাজকতা তৈরি হয় এবং তাতে স্বৈরাচার ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হয়, তবে তা দেশ ও জনগণের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। জনগণ বেছে নেবে কারা আগামী দিনে দেশ পরিচালনার যোগ্য।
বিএনপি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল দাবি করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আড়াই বছর আগে জনগণের সামনে ৩১ দফা ঘোষণা করেছি। সরকার গঠন করলে সেই ভিত্তিতেই দেশ পরিচালনা করা হবে। জনগণের ওপর আস্থা রাখুন, জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে, যেন গণতন্ত্র কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়। ’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাস্তবে ততটা সহজ নাও হতে পারে। দিন যত যাচ্ছে, আশঙ্কা সত্যি হচ্ছে। বাংলাদেশ যতক্ষণ গণতন্ত্রের রেললাইনে না উঠছে, বিএনপির আন্দোলন চলবে। ’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী নির্বাচনে জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারবে এবং ৩১ দফার আলোকে দেশ পরিচালনা করবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মির্জা ফয়সল আমিনকে সভাপতি ও পয়গাম আলীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।