যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমানোর পর ফিরতে শুরু করেছে স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশ। এতে দেশের রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরেছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, এক মৌসুমে কিছুটা বিক্রি কমলেও, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
দীর্ঘ আলোচনার পর গত শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নির্ধারণ করে আমেরিকা। শুল্কের নতুন হার চীন ও ভারতের তুলনায় কম, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বেড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মার্কিন বাজারে বছরে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যার মধ্যে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার পোশাক পণ্য। পোশাক রপ্তানিকারকরা বলছেন, শুল্কের নতুন হার ঠিক করার পর ক্রয়াদেশ স্থগিত করা ক্রেতারা আবার যোগাযোগ শুরু করেছেন। তাদের আশা, কোনো ক্রয়াদেশ বাতিল হবে না, বরং প্রতিযোগী চীন, ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘যেহেতু অন্যান্য দেশের শুল্ক একই পর্যায়ে আছে, সেহেতু বাংলাদেশে সঙ্গে অনেক দিনের সম্পর্ক, পণ্যের মূল্য—এসব কিছু মিলিয়ে অর্ডার চলমান থাকবে বলে আমরা আশা করি।’