একাধিক বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ফলে জুন মাসে আইএমএফের ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বুধবার (১৪ মে)। এদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের সঙ্গে ঋণ ছাড় সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়টি জানানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘কয়েক দফা এখানে এসে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ বিভিন্ন স্টেকের সাথে তারা (আইএসএফ) কথা বলেছে। এক্ষেত্রে তাদের যে সব শর্ত ছিল, সেগুলো খোলাসা করেছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর ধারণা করা হচ্ছে, আইএমএফ ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে অচলায়তন ছিল, তার অবসান হবে।’
ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার বিষয়ে মতবিরোধ থাকায় এত দিন ঋণের কিস্তি আটকে ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে ২০২২ সালে আইএমএফের দ্বারস্থ হয় তৎকালীন সরকার। সে-সময় নানা শর্ত জুড়ে দিয়ে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। পরে ৩ কিস্তিতে ছাড় হয় ২৩১ কোটি ডলার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ঘুরে যায় আইএমএফ মিশন। সে সময় ডলারের বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার নির্ধারণ না করা, ৬৩ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় করতে না পারা আর ভর্তুকি কমানোর প্রশ্নে অসন্তোষ প্রকাশ করে মিশন। শঙ্কা তৈরি হয় ঋণের বাকি অর্থ ছাড় নিয়ে।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





























