গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায় সিএনজি স্টেশন আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে চায় পেট্রোবাংলা। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সংস্থাটি।
বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে মোট সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
স্টেশন মালিকরা জানান, বিদ্যুতের কারণে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি বন্ধ থাকে। রেশনিংয়ের আওতায় পাঁচ ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি করা হয় না। পাশাপাশি স্বল্প চাপের কারণে গ্যাস নিতে সময় লাগে। এর মধ্যে রেশনিং আরও দুই ঘণ্টা বাড়ানো হলে ব্যবসা থাকবে না।
সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ফারহান নূর বলেন, “মঙ্গলবার আমাদের ডেকে গ্যাসসংকটের কথা জানিয়ে সহযোগিতা চায় পেট্রোবাংলা। পরে সহযোগিতার কথা জানতে চাইলে তারা জানান, আরও দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে চান। কিন্তু বর্তমানে আমাদের যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা অসম্মতি জানাই।”
ফারহান নূর আরও বলেন, “বর্তমানে সিএনজি স্টেশনগুলো মোট সরবরাহ করা গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ দাম দেয়। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং গাড়িতে তেল ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে, যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।”
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “আমরা প্রাথমিক আলোচনা করেছি। এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সংকট মোকাবিলায় সবাই এগিয়ে না এলে আমাদের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়।”
বিকেলে নাকি রাতে দুই ঘণ্টা বাড়ানো হবে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান বলেন, “পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কোন সময় করলে বিদ্যুতে গ্যাসের সরবরাহ আর একটু বৃদ্ধি করা যাবে, সেটাই দেখা হবে।”