আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘‘লাশ না থাকা সত্ত্বেও সে স্থানকে তার কবর বলে চালিয়ে দেওয়া যেমন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা একই সঙ্গে অত্যন্ত অনৈসলামিক কাজ, যেটি বিএনপি করছে।’’
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সরকারি সফরে ভারতের রাজধানী দিল্লির পথে রওনা হওয়ার আগ মুহূর্তে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় সংসদ ভবনসংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবর নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ নিয়ে সংসদেও শনিবার আলোচনা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের লাশ কেউ দেখে নাই, তখনকার পত্রিকার কাটিং আমার মোবাইল ফোনেই আছে এবং পত্রিকায় লিখেছে কেউ জিয়ার লাশ দেখে নাই। তারেক রহমান লাশ দেখার জন্য খুব মিনতি করেছিল, তাকে দেখানো হয় নাই, খালেদা জিয়াও দেখেন নাই, কেউ দেখে নাই।’’
এছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় যে প্রথম কবর দেওয়া হয়েছিল বলা হচ্ছে, সেই কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সাক্ষী তখনকার চেয়ারম্যান জহির এখনও বেঁচে আছেন। তিনি বলেছেন, লাশ তোলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা জিয়ার লাশ দেখিনি। আসলে তারা পুরোপুরি মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছে।’’
এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, জনগণই এটির বিচার করবে, দ্বিতীয়ত তারা যেহেতু দাবি করছে তারা প্রমাণ করুক। সে পথে তারা হাঁটে না বরং আগে বিশেষ বিশেষ দিনে তারা সেখানে যেত এখন প্রতি সপ্তাহে কারণে-অকারণে যায় এবং মাঝে মধ্যে মারামারি করে।
এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে গণঐক্য গড়তে বিএনপির আহ্বানের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের ঐক্য তো সবসময় জঙ্গি-জামাত-মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়। তাদের এই ঐক্য সবসময়ই ছিল, এখনও আছে। এতে কোনো রাখঢাক নেই। জাফরুল্লাহ সাহেব তালেবানদের কাবুল দখলের পর যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিই হচ্ছে বিএনপির অন্তর্নিহিত বক্তব্য।
এদিকে বিদেশি টিভির ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে ব্যবস্থার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমরা বিদেশি চ্যানেল ডাউনলিংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিবিউটর, ক্যাবল অপারেটর, ডিটিএইচ সেবা প্রদানকারীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলাম এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে ১ অক্টোবর থেকে কেউ যদি ক্লিন ফিড না চালায় এবং ক্যাবল অপারেটিং লাইসেন্স অনুযায়ী নিয়ম-কানুন না মানে তবে আমরা আইন প্রয়োগ করবো বলে জানিয়েছিলাম। সুতরাং তারা যদি আইন না মানে সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’
নয়াদিল্লি সফরকালে সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান মন্ত্রী। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।