স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, “যারা মন্দিরে কোরআন শরীফ রাখে তারাই আবার মন্দির ভাঙচুর করে।”
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘ডেল্টা প্লান-২০২১ বাস্তবায়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণু নগর উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “ধর্মকে অপব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করা। এরা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চায়। তাই হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের প্রতিহত করতে হবে।”
মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “দেশে বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হচ্ছে ডেল্টাপ্ল্যান তথা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০।”
শতবর্ষী এই ডেল্টাপ্ল্যানকে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “এই প্ল্যান বাস্তবায়নে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে সরকার।”
তাজুল ইসলাম আরো বলেন, “ শর্ট টার্ম অথবা লং টার্ম যে প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন, সেগুলো অবশ্যই টেকসই ও প্রোডাক্টিভ হতে হবে এবং টাইমলাইন অনুযায়ী শেষ করতে হবে। অনেক প্রকল্প গ্রহণ করার পর বারবার প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হয়- যা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধ্বংসস্তুপ দেশ পেয়ে বলেছিলেন এদেশে আমার মাটি ও মানুষ আছে। সেই মাটি ও মানুষকে সম্পৃক্ত করে এলাকা ভিত্তিক সম্পদের উৎসগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা আছে, শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব আছে। সকল বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে দেশ উন্নয়ের শিখরে পৌঁছে যাবে।”
এছাড়া সিভিএফ বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদি এবং নেদারল্যান্ডসের হেড অব মিশন মি. আন্নি ভ্যান লিউয়েন।