কুমিল্লায় ঘটনার জেরে জুমার নামাজের পর অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি এড়াতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের আগে থেকেই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যের অবস্থান দেখা যায়। নামাজের পরও সতর্কাবস্থানে দেখা গেছে তাদের।
এদিকে এই নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে জুমার নামাজের পর মিছিল করেছেন মুসল্লিরা।
এ সময় পুলিশ তাদের বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টনের নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দেয়। এ সময় কাকরাইল মোড়ে মুসল্লিদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রমনা থানা এসিসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- রমনা জোনের এসি মো. বায়জিদুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহিদুল। আহত অপর দুই পুলিশ সদস্যের নাম জানা যায়নি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান।
ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে জুমার নামাজের আগেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নামাজের পর মিছিল বের করেন মুসল্লিরা। পুলিশ তাদের বায়তুল মোকাররম থেকে নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি দেয়। কিন্তু তারা কাকরাইল মোড়ে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন এবং ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় ওই পুলিশ সদস্যরা আহত হন।”
আহত এসি মো. বায়জিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “আমিসহ পুলিশের পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বায়তুল মোকাররম এলাকায় আবারও ডিউটিতে ফিরেছি।”
বায়জিদুর রহমান বলেন, “ নামাজ শেষে মিছিল নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা ইট-পাটকেল ও লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর আঘাত করে।”