রম্যসাহিত্যিক হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন শফিক হাসান। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১-এ দিনাজপুরের কাহারোলে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় তাকে।
পরমেশ্বরীপুরস্থ স্মৃতি সংঘ ও সাহিত্য সংসদের দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হয় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। ‘লেখক সম্মেলন ও গুণিজন সংবর্ধনা ২০২১’ আয়োজনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এবং ভারতের কলকাতা থেকেও এসেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
শফিক হাসানের হাতে ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সাহিত্যিক-অধ্যাপক ড. মাসুদুল হক, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং টেলিযোযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর।
অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বক্তব্য দেন স্মৃতি সংঘ ও সাহিত্য সংসদের সভাপতি প্রফুল্ল রায় সদাশীব। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমরা দুই দশক ধরে সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে আসছি। এবার সম্পন্ন হলো পঞ্চম সাহিত্য সম্মেলন। গুণিজন খুঁজে বের করে তাঁদের সম্মাননা প্রচেষ্টা লালন ও পালন করে যাচ্ছি। সংগঠনের দুই দশকপূর্তি অনুষ্ঠান সেই মানসিকতারই প্রতিফলন। শফিক হাসানকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবার আরও সম্মাননা পেয়েছেন— কামরুল ইসলাম, মাহবুব আলী, সৌমিত্র দেব, সাব্বির রেজা, শিমুল কর্মকার, আবুল কালাম আজাদ, অজয় কুমার রায়, মাহবুবুল ইসলাম ও আহম্মেদ রব্বানী।
দীর্ঘ দুই দশক ধরে শফিক হাসান সাহিত্যের নানা শাখায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তবে রম্যসাহিত্যে তুলনামূলক বেশি সরব। প্রকাশিত রম্যগল্পগ্রন্থ পাঁচটি। বইগুলো হচ্ছে—সবার উপরে ছাগল সত্য, নোমান মামার সমাজসেবা, পাতালের তারকা, ঘরজামাই পর-জামাই, লোকাল ক্যাচাল। সম্পাদনা করেছেন রম্য সংকলন ‘কাশির চেয়ে হাসি ভালো’। ২০২২-এর বইমেলায় সাহিত্যদেশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হচ্ছে আরেকটি রম্যগল্পগ্রন্থ ‘এক থাপ্পড়ে দুই মশা’।