তেরো বছরের মেয়ে আর সাত বছরের ছেলেকে জড়িয়ে রেখে দুদিন ধরে পাথর হয়ে ড্রয়িংরুমে বসে আছে সুনীতা। ওপাশে স্বামী। ‘No Entry’ লেখা নোটিশ ঝুলছে বন্ধ দরজায়।
যার হাত ধরে একদিন এই আত্মীয়-স্বজনশূন্য পরবাসে পাড়ি জমিয়েছিল, সেই লোকটি ওপাশে শুয়ে আছে। একা। অথচ ওই লোকটিই বলত—আমি কোনো দিন একা ঘুমোতে পারব না, নীতা।
আর এখন!
ভাবতে ভাবতে ঝিমুনি আসে। সহসা সাইরেনের শব্দ। অ্যাম্বুলেন্স। চন্দ্রাভিযানে যাওয়া নভোচারীদের মতো কয়েকজন লোক এসে ‘No Entry’ লেখা দরজাটা খুলে ভেতরে ঢুকল।
ইচ্ছে থাকলেও শেষবারের মতো তাকে আলিঙ্গন করতে পারবে না স্ত্রী-সন্তানেরা।
রাস্তায় সাইরেনের শব্দ। অ্যাম্বুলেন্স। নিখিলেশ তাহলে চলে যাচ্ছে।