• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪
২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

উৎসবের উদ্বোধনী দিনে ‍‍‘জেকে ১৯৭১‍‍’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২, ০২:১৬ পিএম
উৎসবের উদ্বোধনী দিনে ‍‍‘জেকে ১৯৭১‍‍’

২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসর বসতে যাচ্ছে আগামী বছরের ১৪ জানুয়ারি। আসন্ন এই উৎসব শুরু হবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘জেকে ১৯৭১’ দিয়ে। এমনটাই জানিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। 

‘জেকে ১৯৭১’ ছবিটি তৈরি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরাসি যুবক জ্যঁ কুয়ের বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফাখরুল আরেফিন খান। তার ছবিটি উৎসবের উদ্বোধনী দিনে দেখাতে পেরে বেশ গর্ববোধ করছেন বলে সংবাদ প্রকাশকে জানান উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।  তিনি বলেন, “ফাখরুল আরেফিন একসময় আমাদের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আর এবার তারই ছবি দিয়ে উৎসব শুরু হবে, এটি আমাদের জন্য গর্বের।”

উৎসব পরিচালক আরও বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। উৎসবে যেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পরিচালক, সমালোচকরা আসবেন, তাই উদ্বোধনী ছবি হিসেবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাটিকেই বেছে নিয়েছি।" 

উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল

জমা পড়া শতাধিক ছবির ভেতর ‘জেকে ১৯৭১’ প্রতিযোগিতা করবে বাংলাদেশ প্যানোরামা শাখায়। উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ফাখরুল আরেফিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, "আন্তর্জাতিক উৎসবের উদ্বোধনী সিনেমা মানে অনেক সম্মানের বিষয়। ভালো লাগছে। উৎসবে দেশ–বিদেশের পরিচালক, সমালোচক থাকবেন, দেশের অনেক দর্শক সিনেমাটি দেখবেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এমন একটি গল্প দর্শকদের দেখানো আমার জন্য আরেকটি নতুন অভিজ্ঞতা হবে।”

চলচ্চিত্রটি এরই মধ্যে মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জিতে নিয়েছে সেরা ঐতিহাসিক সিনেমার পুরস্কার। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সৌরভ শুভ্র দাশ। এ ছাড়া আরও রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেতা ফ্রান্সিসকো রেমন্ড, রুশ অভিনেত্রী ডেরিয়া গভ্রুসেনকো, অভিনেতা নিকোলাই নভোমিনাস্কি, পশ্চিমবঙ্গের সব্যসাচী চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল প্রমুখ।

‘জেকে ১৯৭১’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

১৪ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়ে উৎসবটি চলবে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। শুধু বাংলাদেশ প্যানোরামা নয়, উৎসবে বরাবরের মতো এশিয়ান কমপিটিশন, সিনেমা অব ওয়ার্ল্ড, উইমেন ফিল্ম মেকার সেকশন, স্পিরিচুয়াল, চিলড্রেন, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল শাখাগুলোতেও চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। 

উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, “এবার আমরা আর্ট ফিল্মগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছি। সব জনরার ছবিই রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই ধরনের উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা পৃষ্ঠপোষকতা। সংস্কৃতির চর্চা চালিয়ে যেতে সবার এগিয়ে আসা দরকার।‍‍”

বিশ্বের অন্যান্য চলচ্চিত্র উৎসবে সরকারের পক্ষ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা থাকে, এমনকি বার্লিন বা ভেনিসের মতো শহরে উৎসব চলাকালে ওই শহরের মেয়র সরাসরি আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং আর্থিকভাবে সহায়তা করেন বলে আক্ষেপ করলেন উৎসব পরিচালক জামাল। তিনি মনে করেন, প্রতিবছর এত বড় আয়োজন বড় ধরনের সহায়তা ছাড়া করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তা ছাড়া ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এরই মধ্যে বিশ্বের কাছে পরিচিত একটি আয়োজন হয়ে উঠেছে।

১৯৯২ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। গত কয়েক বছর ধরে উৎসবের ছবিগুলো সরাসরি পর্দায় ও অনলাইনে, দুইভাবেই, হাইব্রিড পদ্ধতিতে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

Link copied!