• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

উৎসবে যেভাবে এলো ক্রিসমাস বেল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২১, ০২:৫৭ পিএম
উৎসবে যেভাবে এলো ক্রিসমাস বেল

ক্রিসমাস বা বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এই দিনে যীশু খ্রিস্টের জন্ম হয়। তাদের বিশ্বাস, ক্রিসমাসের এই দিনে প্রার্থনা করলে সারাবছর তাদের সেরা প্রাপ্তি হয়। ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে এই  উৎসব পালিত হয়। প্রার্থনা, নাচ-গান, উপহার দেওয়া-নেওয়ার মাঝেই কাটে পুরোটা সময়। এই উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে ক্রিসমাস বেল।

বড়দিনের ঘণ্টা বা ক্রিসমাস বেল এই উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ। গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কিংবা শুধু আনন্দ প্রকাশে ঘণ্টা বাজান তারা। ক্রিসমাস ট্রির অলঙ্কার এবং অন্যান্য সাজসজ্জার মাধ্যমে ঘণ্টা বাড়িতে প্রবেশ করে। ক্রিসমাসের ফুলে বা মালায় ঘণ্টা জুড়ে দিয়ে নকশা করা হয়। ঘরের দরজা সাজাতে ডোর লুপ থেকে ঝুলন্ত ঘণ্টা টানানো যায়। ক্রিসমাসে সান্তা  টুপিতে প্রায়ই একটি পমপম বিশিষ্ট স্লেই বেল জুড়ে দেওয়া হয়। তবে ঘণ্টা কেন এতো মূল্যবান এর পেছনেও রয়েছে চমৎকার ইতিহাস।

যীশু খ্রিস্টের জন্মের প্রশংসা করার জন্য ক্রিসমাসের আগের দিন মধ্যরাতে বাজানো হয় ক্রিসমাস বেল বা ঘণ্টা। এই ঐতিহ্যটি কখন শুরু হয়েছিল, এর পেছনের ঘটনাগুলো অনেকের অজানা।

ঘণ্টার সঙ্গে আমাদের পরিচিতি খ্রিস্টধর্মের পূর্বেই। তবে ঘণ্টার সঙ্গে খ্রিস্টধর্মের সখ্যতার উৎস হচ্ছেন  সেন্ট প্যাট্রিক। তিনি আইরিশ গ্রামের আশেপাশের স্থানীয়দের এবং শহরের লোকদেরকে একত্রিত করার  জন্য ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। এরপর তাদেরকে বাইবেলের শিক্ষা দিতেন। বাইবেলে বার্তাগুলো তাদের কাছে পৌছে দিতেন। সেই প্রথা থেকেই ঘণ্টাকে বাইবেলের শব্দের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

সেই রীতি থেকেই ঐতিহ্যটির প্রচলন। এরপর থেকেই ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোতে ঘণ্টা বাজানো হয়। ঘণ্টা বাজিয়ে সবার কাছে বার্তা পৌছে দেওয়া হয়।

এবার সেন্ট প্যাট্রিকের সময় থেকে ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়ান যুগ পর্যন্ত ইতিহাসের দিকে দ্রুত নজর দিতে হবে। কারণ ভিক্টোরিয়ানরাই ছিল যারা যতটা সম্ভব ট্রেন্ডি ঘণ্টা তৈরি করেছিল। ভিক্টোরিয়ানরা ক্যারোলিং করতে যেতেন হাতে ছোট ঘণ্টা নিয়ে। কিংবা গানের সঙ্গে সঙ্গেও ঘণ্টা বাজাতেন তারা। কখনও কখনও গান ছাড়াই তারা কেবল ঘণ্টা বাজিয়ে সেই সঙ্গে হাঁটতেন। তবে ঘণ্টার সঙ্গে ক্যারল গাওয়া ভিক্টোরিয়ান যুগে সাধারণ অভ্যাস ছিল।

বহু বছর ধরেই চার্চের মধ্যে ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চার্চে বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নতুন দম্পতি হাতে রিং পরানোর মাধ্যমে নতুন জীবনের শুরুর সময়টাতে ঘণ্টা বাজানো হয়। শুধু তাই নয়, প্রিয়জনদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্যও ঘণ্টা বাজানো হয়। এছাড়াও অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো উদযাপনে ঘণ্টা বাজানো হয়। তবে এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘণ্টা বাজানো হয় ক্রিসমাসের সময়ে। ক্রিসমাসের মধ্যরাতে ক্রিসমাস বেল বাজিয়ে জানান দেওয়া হয় উৎসবের।

Link copied!