কোরবানির ঈদে পশু জবেহ করতে কিছু সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। ঈদের সপ্তাহখানেক আগ থেকেই এসব সরঞ্জামের বেচা-কেনা শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে খাইট্টা, পাটি, দা, বটি ছুরিসহ নানা কিছু। কেউ পুরোনো দা, বটি ধারিয়ে নিচ্ছেন কেউ আবার নতুন করে কিনে রাখছেন। এক বছর কিনে নিলেই তা দিয়ে কয়েক বছরের কোরবানির কাজ সম্পন্ন করা যায়।
যারা নতুন করে এসব অনুষঙ্গ কিনতে চাচ্ছেন তারা কোথায় পাওয়া যায়, কেমন দাম হবে তা জেনে নিতে পারেন। লকডাউনের মধ্যে দাম জেনে বাজারে যাবেন, সহজেই প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনে নিতে পারবেন। এতে সময়ও কিন্তু বেঁচে যাবে।
কোরবানির এসব অনুষঙ্গ এলাকায় স্থানীয় বাজারেও পাওয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় করে যদি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঘুরে আসতে পারেন। একসঙ্গে সব জিনিস সেখান থেকেই কিনে নিতে পারবেন।

কোরবানির পশুর মাংস কাটার জন্য় খাইট্টা (মাংস কাটার কাঠ) কিনতে হয়। এটা মোটামুটি প্রতিবছরই নতুন করে কিনতে হয়। এসব খাইট্টার দাম পড়বে ২০০ থেকে ৮০০ টাকা। আকার ও মান অনুসারে দামের তারতম্য হয়। এসব খাইট্টা সাধারণত তেঁতুল গাছের হয়ে থাকে। কারণ এই কাঠে মাংস কাটলে গুড়ি মাংসে লেগে যায় না।
তবে এখন অন্যান্য গাছের খাইট্টাও পাওয়া যায়। এগুলোর দাম তুলনামূলক কম হয়। সাধারণত জামালপুর, নেত্রকোনো, যশোর, টঙ্গী, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও বরিশাল থেকে আসে এসব খাইট্টা।

কোরবানির পর পশুর মাংস রাখার জন্য় পাটি কিনতে হয়। চটের পাটি পাওয়া যায়। সেখানেই কাটার পর মাংস রাখা হয়। অনেকে এটিকে দাঁড়ি পাটি বলে। প্রতিবছরই পাটি কিনতে হয়। কারণ পাটিতে মাংসের রক্ত লেগে যায়। তাই তা পরে আর ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। বাজারে পাটি দাম ১৫০টাকা থেকে ৩০০ টাকা। পাটি সাধারণত চাঁদপুর, ভোলা, ঝিনাইদহসহ অন্য়ান্য চর এলাকা থেকে রাজধানীতে আসে।

এছাড়াও কোরবানির মাংস কাটার জন্য় প্রয়োজনীয় চাপাতি কিনতে পারবেন প্রতি পিস ৪৫০ টাকায়। বটির দাম পড়বে ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পিস। পশুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য় ছোট ছুরি কিনতে পারবেন ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়। পশু জবেহ করার ছুরি পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ টাকা পিস, চাইনিজ কুড়াল পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ টাকা পিস এবং কোপা ছুরি পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকা প্রতি পিস।
এসব সরঞ্জাম সাধারণত কেজি হিসেবে বিক্রি হয়। তাই ওজনে কম-বেশি হলে দামও বাড়বে বা কমবে। ভালো মানের দা-ছুরির কেজি পড়বে ৭০০ টাকা এবং নিম্নমানের দাম হবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি প্রতি।
যেসব ছুরির ধরার অংশে কাঠ লাগানো রয়েছে সেগুলো পিস হিসেবে বিক্রি হয়। যার দাম পড়বে ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা।







































