রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা,চলবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। এতে প্রতিদিন অংশ নেবেন ১৮০ প্রার্থী। নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থীকে উপস্থিত হতে হবে। এ পরীক্ষা কোনোভাবেই পেছানো যাবে না।
সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ
৪৩তম বি.সি.এস. এর জন্য নির্ধারিত অনলাইন ফরম কথমশননর www.bpsc.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে
ডাউনলোড করে সংগ্রহ করে এই ফরম ও অন্যান্য কাগজপত্র নির্ধারিত পরীক্ষার দিন নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে জমা দিতে হবে।
পিএসসি প্রকাশিত পৃথক আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে নির্দিষ্ট সময়ে প্রার্থীকে উপস্থিত হতে হবে। এ পরীক্ষা কোনোভাবেই পেছানো যাবে না। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালে প্রার্থীকে কমিশন চত্বরে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ক্যানটিনেও দেখা করা যাবে না। পরীক্ষার দিন প্রার্থী কোনোভাবেই মুঠোফোন বা কোনো যন্ত্র নিয়ে কমিশনে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রিলিমিনারির সময় দেওয়া ছবি–সংবলিত প্রবেশপত্র আনার বিষয়েও বাধ্যতামূলক দিয়েছে পিএসসি।
মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। গত ২০ আগস্ট ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৪১ জন।
গত বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে পিএসসি। ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থী।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।