ভারতে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিশেষভাবে ডিজাইন করা একটি গাড়িতে দাঁড়িয়ে রোড শো করছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক এমন সময় তাকে লক্ষ্য করে ‘মোবাইল ফোন’ ছুড়ে মারা হয়। যদিও সেটি মোদির শরীরে না লাগলেও হাতের পাশ দিয়ে বেরিয়ে তার গাড়ির বনেটে পড়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বিশেষভাবে ডিজাইন করা গাড়িতে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লক্ষ্য করে ‘মোবাইল ফোন’ ছুড়ে মারা হয়।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপির একজন নারী কর্মীর হাত থেকে ‘উত্তেজনা’ বশত ফোনটি ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল। যার কোনো ‘অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মোদির গাড়ি রাস্তা ধরে যাচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে মোদির গাড়ি লক্ষ্য করে ফুল ছুড়তে থাকেন। জনসংযোগ করতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তার মধ্যে মোদির দিকে একটি মোবাইল ফোন ছোড়া হয়। সেই সময় হাত নাড়াচ্ছিলেন মোদি। ঠিক হাতের সামনে দিয়ে মোবাইল বেরিয়ে যায়। সামান্য ফাঁক ছিল।
তবে বারবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাব্যবস্থায় গলদ ধরা পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তা-ই নয়, বিশেষজ্ঞরা শিউরে উঠছেন এই ভেবে যে, ওটা মোবাইল না হয়ে যদি অন্য কিছু হতো, তখন কী হতো?
কর্ণাটক পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (আইনশৃঙ্খলা) অলোক কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা প্রদান করে এসপিজি। ওই নারী (যার ফোন মোদির গাড়িতে পড়ে) একজন বিজেপি কর্মী। পরে তাকে ফোন ফিরিয়ে দেন এসপিজির সদস্যরা। উত্তেজনার বশে ফোন ছুড়ে দিয়েছিলেন ওই নারী। কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফোনটি যে গাড়ির বনেটে পড়েছে, তা মোদির চোখ এড়ায়নি। তিনি বিষয়টি দ্রুত স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) সদস্যদের জানান। তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আগামী ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে রোববার রাতে মাইসুরুর কেআর সার্কেলের কাছে রোড শো করেন মোদি।
আপনার মতামত লিখুন :