• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ইরানে কোরআন অবমাননার দায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ০১:২৯ পিএম
ইরানে কোরআন অবমাননার দায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

পবিত্র ‘কোরআন পোড়ানো’ এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার অপরাধে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। দেশটির বিচার বিভাগের মিজান নিউজ এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তারা হলেন ইউসুফ মেহরাদ ও সাদ্রোল্লা ফাজেলি-জারে।

ইরানের বিচার বিভাগ বলছে, ইউসুফ মেহরাদ ও সাদ্রোল্লা ফাজেলি-জারে নাস্তিকতা প্রচারের জন্য তারা কয়েক ডজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট চালাতেন। তাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। 

আদালতে মেহরাদের আইনজীবী জোর গলায় বলেছিলেন, তার মক্কেল নির্দোষ। তাই এ সাজা অন্যায্য।

একটি মানবাধিকার সংগঠন তাদের মৃত্যুদণ্ডকে ‘মধ্যযুগীয় শাসনের নিষ্ঠুর উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে। ইরানে নারীর পোশাকের দাবিতে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যদিও দেশটিতে ধর্ম অবমাননার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা বিরল।

মিজান বলছে, সোমবার সকালে মধ্য ইরানের আরাক কারাগারে ইউসুফ মেহরাদ ও সাদ্রোল্লা ফাজেলি-জারেকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

ইরানের হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট নিউজ এজেন্সির (এইচআরএএনএ) মতে, এই দুই ব্যক্তিকে ২০২০ সালে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ‘কুসংস্কার এবং ধর্মের সমালোচনা’ নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাদের। গ্রেপ্তারের পর প্রথম দুই মাস তাদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল। সেখানে কোনো আইনজীবীর প্রবেশাধিকার ছিল না।

২০২১ সালে আরাক ফৌজদারি আদালত মেহরাদ ও ফাজেলি-জারেকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে কাজ করার অপরাধে তাদের ছয় বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল।

রায়ের বিরুদ্ধে তাদের আপিল প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট সে বছরের শেষের দিকে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। মিজান বলছে, দুজনেই ‘স্পষ্টভাবে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন’।

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটসের পরিচালক মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দাম বলেন, “নবীকে অবমাননা করার জন্য ইউসুফ ও সাদ্রোল্লার মৃত্যুদণ্ড কেবল একটি মধ্যযুগীয় শাসনের নিষ্ঠুর উদাহরণ। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্যও একটি গুরুতর হুমকি বটে।”

Link copied!