• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ইসরায়েলি হামলায় ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে গাজাবাসীর দেহ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে গাজাবাসীর দেহ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার ( এপ্রিল) ভোরের দিকে গাজা উপত্যাকার খান ইউনিস এলাকার একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত জন নিহত হয়েছেন। এতে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে ফিলিস্তিনিদের দেহ।ওই হামলা থেকে বেঁচে ফিরেছেন খান ইউনিসের বাসিন্দা জামাল আল-মধুন।

ইসরায়েলি হামলার রোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমাচ্ছিলাম... এবং হঠাৎ করেই, ঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেল। বাসার ছাদ নিরীহ নারী শিশুদের মাথার ওপর ভেঙে পড়ল। পাহাড়-পর্বতকে ছাইয়ে পরিণত করে দেওয়ার মতো করে শিশুদের ওপর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলো।”

জামাল আল-মধুন বলেন, “আমরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আটজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের সকলেই নারী শিশু। একজন পুরুষও নেই।”

তারা (ইসরায়েলিরা) মিথ্যা দাবি তুলেছে (যে তারা যোদ্ধাদের নিশানা করছে) পুরোটাই মিথ্যা। তাদের লক্ষ্য মুসলিম পরিচয়ের যে কোনো মানুষকে হত্যা করা। এই নিরীহ নারী শিশুদের সকলের মরদেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে।”

এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, নতুন একটি সামরিক করিডোর প্রতিষ্ঠার জন্য দক্ষিণ গাজায় অভিযান শুরু করেছে সৈন্যরা। মোরাগ করিডোর নামের তথাকথিত এই করিডোরটি অবৈধ ইসরায়েলি বসতি ছিল; যা ২০০৫ সালে উচ্ছেদ করা হয়। এই করিডোর প্রতিষ্ঠা করা হলে রাফা নগরীকে উপত্যকার অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে।

গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার প্রতিনিধি হিন্দ খোদারি বলেছেন, ইসরায়েলি সেনারা রাফা খান ইউনিসের মাঝে করিডোর তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই করিডোর প্রতিষ্ঠা করা হলে গাজার বাকী অংশ থেকে রাফা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, “ইসরায়েলি সৈন্যরা এই অঞ্চলের কাছাকাছি আসা যেকোনো লোকজনকে লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলিবর্ষণ করছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য বর্তমানে একমাত্র উন্মুক্ত অঞ্চল হলো উপকূলীয় সড়ক ঘেঁষে থাকা আল-রশিদ করিডোর।”

এর আগে, আল জাজিরার এই প্রতিনিধি বলেছিলেন, “এখানে এখনো সকাল। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ফিলিস্তিনিরা যে কোনো খাবারের সন্ধান করছে যেন তারা তাদের পরিবারকে খাওয়াতে পারে। গত এক মাস ধরে গাজায় একটি ট্রাকও প্রবেশ করেনিকোনো খাবার না, বাণিজ্যিক কোনো কিছু না, কোনো জ্বালানি না, রান্নার কোনো গ্যাস না, এমনকি ওষুধও না। এমনকি কোনো তাঁবু বা আশ্রয় উপকরণও না।”

Link copied!