• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬
মিয়ানমার

এবার ভারত-সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যের দখল নিল বিদ্রোহীরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
এবার ভারত-সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যের দখল নিল বিদ্রোহীরা

রাখাইনের পরে এবার ভারতের মণিপুর-রাজ্য ঘেঁষা চিন প্রদেশের দখল নিলেন মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা। ওই অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুড গত সোমবার দাবি করে, সপ্তাহান্তে মিনদাত ও কানপেটলেট শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় চিন রাজ্যের ৮০ শতাংশই জান্তার হাতছাড়া হয়ে গেছে।

দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, চিন প্রদেশের ৮০ শতাংশই বিদ্রোহী জোটের দখলে। সামরিক জান্তা সরকারের বাহিনীকে হটিয়ে থাইল্যান্ড এবং চিনের সীমান্তবর্তী এলাকার বড় অংশ কয়েক মাস আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল বিদ্রোহী জোট।

জুন্তাবিরোধী নতুন জোট ‘চিন ব্রাদারহুড’-এর শরিক ‘ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স’, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ‘ইয়াও আর্মি’ এবং ‘মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ চিন প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে ‘দ্য ইরাবতী’র দাবি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আউং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল মিয়ানমার সেনা। শুরু হয়েছিল সামরিক জান্তার শাসন। তার আড়াই বছরের মাথায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’।

পরবর্তী সময়ে জান্তা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জান্তা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ এবং তাদের সশস্ত্র শাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানায়। বিদ্রোহীদের মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী ‘দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি’ (ইউডব্লিউএসপি) ইতিমধ্যেই কয়েকটি ‘মুক্ত’ এলাকায় সমান্তরাল সরকার চালানো শুরু করে দিয়েছে। থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ খোলাখুলি বিদ্রোহীদের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। আর নতুনজোট চিন ব্রাদারহুড’ গঠিত হয়েছে চলতি বছরের গোড়ায়। 

Link copied!