মিয়ানমারে গত চার দিনে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠী দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে হামলা করে অন্তত ১১৪ জন সরকারি সেনাকে হত্যা করেছে। পিডিএফ ও সশস্ত্র গোষ্ঠী যৌথভাবে সরকারের বর্ডার গার্ড ফোর্সেসের (বিজিএফ) ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। কারেন রাজ্যের মিওয়াদি টাউনশিপে এই হামলা চালানো হয়।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাওয়াদি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, কারেন ও চিন রাজ্যের সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে ও তানিন্থারি অঞ্চলেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তবে স্বতন্ত্রভাবে হতাহতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
লায়ন ব্যাটালিয়ন কমান্ড দাবি করেছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার কারেন রাজ্যের মিওয়াদি টাউনশিপে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলায় নিহত ৮৫ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। এখানে পিডিএফের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় বেশ কয়েকটি সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী। সম্মিলিতভাবে তারা বিজিএফের অন্তত পাঁচটি ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুদিন ধরে পরিচালিত হামলায় বিজিএফের পাঁচটি ফাঁড়ি দখলের পর সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭৫টির বেশি আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
গোষ্ঠীর ভিডিওতে বেশ কয়েকজন সীমান্তরক্ষীর মৃতদেহ একই সঙ্গে বিজিএফ ঘাঁটিগুলো পুড়িয়ে ফেলতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার তানিন্থারি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে হামলা চালানো হয়েছে। এতে পিডিএফ-এর তিনটি গোষ্ঠী অংশ নেয়। হামলায় অন্তত ১০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। একই অঞ্চলে আরেকটি হামলায় এক সেনা নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে।
চিন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) দাবি করেছে, বুধবার চিন রাজ্যে ফালাম-হাখা মহাসড়কে তাদের একটি যৌথ হামলায় সেনাবাহিনীর ৯ সদস্য নিহত হয়েছে।
মাগওয়ে অঞ্চলে বুধবার পিডিএফ গোষ্ঠীর সদস্যদের হামলায় দুই সেনা নিহত ও অপর ছয়জন আহত হয়েছে। এখানে তারা একটি সামরিক কলামে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
সাগাইং অঞ্চলে বুধবার প্রতিরোধ বাহিনীর হামলায় অন্তত চারজন জান্তাপন্থী মিলিশিয়া নিহত হয়েছে। এখানে জান্তার বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ছাড়া মান্দালয়ে একটি সামরিক বহরে হামলা চালিয়েছে পিডিএফ।
আপনার মতামত লিখুন :