অর্থপাচারের অভিযোগে ভারতের তামিলনাড়ুর মন্ত্রী ও ডিএমকে পার্টির নেতা সেন্থিল বালাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পরে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
বুধবার (১৪ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বালাজিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর কয়েক ঘণ্টা পর আজ সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ডিএমকে নেতা পি কে সেকার বাবু জানিয়েছেন, “তিনি আইসিইউতে রয়েছেন। তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন এবং যখন তার নাম ধরে ডাকলেও তিনি সাড়া দেননি। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে... তার কানের কাছে একটি ফোলাভাব রয়েছে, ডাক্তাররা বলছেন তার ইসিজি (ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাফ) এর মধ্যে তারতম্য রয়েছে.. এগুলি অত্যাচারের লক্ষণ।”
তামিলনাড়ুর ক্রীড়ামন্ত্রী এবং ডিএমকে যুব শাখার প্রধান উদয়নিধি স্টালিন বলেছেন, “সেন্থিল বালাজির চিকিৎসা চলছে। আমরা আইনগতভাবে এর মোকাবিলা করব। ডিএমকে বিজেপির ভয় দেখিয়ে ভয় পাবে না।”
ডিএমকের সংসদ সদস্য ও আইনজীবী এনআর ইলাঙ্গো জানিয়েছেন, বালাজিকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। ইডি তাকে গ্রেপ্তার করেছে কি না পার্টি সেটি স্পষ্ট নয়। গ্রেপ্তারের কোনো নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ তার। আমি বালাজিকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করার সময় দেখেছিলাম। চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা দেখছেন। তাকে যদি আক্রমণ করা হয়ে থাকে, ডাক্তারকে সমস্ত আঘাত নোট করতে হবে এবং প্রতিবেদন দেখার পরে জানতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এদিকে বালাজির স্ত্রী গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। হাইকোর্ট মামলার জরুরি শুনানির জন্য সম্মত হয়েছে। ডিএমকে নেতার স্ত্রী অভিযোগ করেছেন কোনো নোটিশ বা সমন ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন আজ হাসপাতালে বালাজিকে দেখতে যান। তিনি বালাজির ওপর অভিযানের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যে দলটি ‘ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতি’ করছে।
সম্প্রতি ভারতের আয়কর কর্তৃপক্ষ তামিল রাজ্যজুড়ে বালাজির সহযোগীদের সম্পত্তিতে তল্লাশি চালিয়েছে। এআইএডিএমকে সরকারের মন্ত্রী থাকাকালীন বালাজির বিরুদ্ধে চাকরির বিনিময়ে নগদ অর্থ লেনদেনের অভিযোগের তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আপনার মতামত লিখুন :