• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসরায়েল থেকে দূত সরিয়ে নিচ্ছে জর্ডান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩, ০১:৫১ পিএম
ইসরায়েল থেকে দূত সরিয়ে নিচ্ছে জর্ডান
প্রতীকী ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে দেশটি থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে  ফিরে আসার আদেশ দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডান। গাজায় ইসরায়েলের এ হামলা চরম মানবিক বিপর্যয় তৈরি করছে বলে মনে করে দেশটি।

জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদী তার এক বক্তব্যে ইসরায়েলের এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরে আসার ওই আদেশ দেন। ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ স্থগিত করলেই কেবল তাদের দূত আবার ইসরায়েলে ফিরে যাবে। ইসরায়েলকেও তাদের দূতকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছে দেশটি। এর আগে ২০০৯ সালে জর্ডান আরও একবার তাদের দূতকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

১৯৯৪ সালে জর্ডান ও ইসরায়েল শান্তি চুক্তি হয়। এরপর জর্ডান ইসরায়েলের দখলে থাকা তাদের ভুমি ফিরে পায় এবং পানি নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের যুদ্ধ ২৬ দিনে গড়িয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি এ সহিংসতায় ৮ হাজার ৭০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ৩ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

আঞ্চলিক এই সহিংসতা জর্ডানের মানুষেদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। জর্ডানে প্রায় তিন মিলিয়ন ফিলিস্তিনি শরণার্থীর বসবাস। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) গাজায় করা হামলার পর জর্ডান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করে। 

জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ্ও অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন ও নিন্দা জানান। ১৯ অক্টোবর মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ এল-সিসিও তার এক যৌথ বক্তব্যে বলেন, “তারা ইসরায়েলের ন্যক্কারজনক শাস্তির ওই জঘন্য নীতিকে সমর্থন করে না।”

২৪ শে অক্টোবর জর্ডানের রাণী রানিয়া সিএনএন এর ক্রিস্টিন আমানপুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আধুনিক ইতিহাসে এই প্রথম এতো মানুষ একসঙ্গে অমানবিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির ডাক দেওয়ার প্রযোজনও মনে করছে না কেউ।”

গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে দেশটির সঙ্গে ২৯ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য আম্মানে এখন পর্যন্ত অনেক আন্দোলন হয়েছে। এ বছরের শুরুতে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিকের একটি বক্তব্যের কারণে ইসরায়েলের প্রতি জর্ডানের জনগণের এক প্রকার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে মানুষ বলতে এমন কিছু নেই।” এ বক্তব্যের পরই আম্মান থেকে ইসরায়েলের দূত সরিয়ে নেওয়ার কথা জানালেও এর পক্ষে পর্যাপ্ত ভোট না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

Link copied!