• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

সিরিয়ার বিমানবন্দরে আবারও ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ০১:০৫ পিএম
সিরিয়ার বিমানবন্দরে আবারও ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েল আলেপ্পো বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ হামলায় বিমানবন্দরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। বিমানবন্দরটিতে এক মাসে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালাল দখলদার বাহিনী।

বুধবার (২২ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বুধবার ভোরে ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার পশ্চিম থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার পশ্চিম থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এটি গত ছয় মাসের মধ্যে আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় হামলার ঘটনা।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, যুদ্ধবিমানগুলো ভূমধ্যসাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় সিরিয়ার বৃহত্তম শহর আলেপ্পো এবং একসময় এর বাণিজ্যিক কেন্দ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা উল্লেখ করা হয়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সর্বশেষ এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এর আগে ৬ মার্চ আলেপ্পো বিমানবন্দরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় তিনজন নিহত হয়েছিল। সিরিয়ার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় এই বিমানবন্দরটি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো প্রধান মাধ্যম ছিল। হামলার ফলে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মানুষদের জন্য মানবিক সহায়তাকারী ফ্লাইট বন্ধ হয়ে গেছে।  

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকবার আলেপ্পো ও দামেস্ক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দামেস্কের একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছিল।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এই দেশটির অভ্যন্তরে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। সরকারি নানা স্থাপনার পাশাপাশি মিত্র ইরান-সমর্থিত বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

এছাড়া ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়িয়েছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটির রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত বেশিরভাগ অঞ্চলেই তেহরানের উপস্থিতি রয়েছে। এমনকি ইরানের নেতৃত্বে হাজার হাজার মিলিশিয়া এবং স্থানীয় আধা সামরিক গোষ্ঠীর সদস্যরা সিরিয়ায় অবস্থান করছে বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করছে।

Link copied!