• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

উইঘুরদের ধর্মীয় কন্টেন্টকে চরমপন্থা বলছে চীন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৩, ০১:১১ পিএম
উইঘুরদের ধর্মীয় কন্টেন্টকে চরমপন্থা বলছে চীন

চীনা কর্তৃপক্ষ উইঘুরদের মোবাইল ফোনে থাকা ‘কোরআন’ সংক্রান্ত ৫০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ফাইলকে চরমপন্থা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ফরেনসিক তদন্তে উঠেছে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এই ফাইলগুলোর মধ্যে ১৯৮৯ সালে তিয়েনআননমেন স্কয়ার গণহত্যার তথ্যও রয়েছে। যেসবের ওপর চীনা কর্তৃপক্ষ ব্যাপকভাবে সেন্সর আরোপ করেছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব ‘হিংসাত্মক এবং সন্ত্রাসী’ মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট আইএসআইএসের (আইএসআইএল) মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো দ্বারা উৎপাদিত সহিংস অডিও, ভিডিও এবং চিত্রের মতোই।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ভারপ্রাপ্ত চীনা পরিচালক মায়া ওয়াং বলেছেন, “চীনা সরকার জিনজিয়াং-এ তুর্কি মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার ঘৃণ্য অপব্যবহারের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য হিংসাত্মক চরমপন্থার সঙ্গে ইসলামকে বিপজ্জনকভাবে মিশ্রিত করছে।”

তিনি বলেন, “জিনজিয়াং এবং এর বাইরে চীনা সরকারের এসব বিষয় নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত তদন্ত করে দীর্ঘমেয়াদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।”

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দ্বারা বিশ্লেষণ করা নথিগুলো জিনজিয়াং পুলিশের ডাটাবেসের ৫৪ জিগাবাইট নথির কিছু অংশ, যা ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম দ্বারা ফাঁস হয়েছিল।

চীনা কর্তৃপক্ষ মোবাইল ফোনের বিষয়বস্তু নিরীক্ষণ করতে পারে, এমন একটি অ্যাপ জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকিতে বাসিন্দাদের ডাউনলোড করতে বাধ্য করেছে। এর মাধ্যমেই তারা এ কন্টেন্টগুলোতে নজরদাড়ি করতে পেরেছিল।

সংস্থাটি বলছে, পুলিশের ডাটাবেসের একটি বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায় শুধু ধর্মীয় অনুশীলন বা ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহ দেখানোর জন্য উইঘুর মুসলমানদের ‘সহিংস চরমপন্থার সমর্থক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফাইলগুলোর মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশে হিংসাত্মক উপাদান রয়েছে এবং ৪ শতাংশে সহিংসতার আহ্বান জানানোর মতো উপাদান রয়েছে।

Link copied!