• ঢাকা
  • সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৫ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেল আরও ৭২ জনের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ১০:১৭ এএম
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেল আরও ৭২ জনের
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেল আরও ৭২ জনের। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন তারা। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২৭৮ জন।

শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যার পর গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।  এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হামলা চালায় আইডিএফ। এতে ৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২৭৮ জন। তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১১ হাজার ৪৫১ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৪ হাজার ৩২১ জন এবং ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!