ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাদের অবিরাম গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে চালানো হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৬ হাজার ৩০০ নারী ও ৮ হাজার ৮০০ শিশুকে হত্যা করেছে বলে গাজার মিডিয়া অফিস বুধবার জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে নিয়ে আসা নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২১ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে।
গাজার মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ৮২ দিন ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১ হাজার ৭৭৯টি গণহত্যা করেছে। যার ফলে ২৮ হাজার ১১০ জন ব্যক্তি শহীদ এবং নিখোঁজ হয়েছেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বুধবার গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ফের বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে,
আল-মাগাজিতে বিমান হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালের কাছে একটি হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ জন। আহত হয়েছেন অনেকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মধ্য গাজা ও খান ইউনিস থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।
ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :