• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
ফিলিপাইনে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

মহিষের গাড়িতে করে আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার নাগরিক


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৩, ১২:১২ পিএম
মহিষের গাড়িতে করে আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩ হাজার নাগরিক

উত্তর-পূর্ব ফিলিপাইনের সবচেয়ে বিখ্যাত মাউন্ট মেয়ন আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ায় প্রায় ১৩ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তীব্রতা বেশি হলে আরও অধিক সংখ্যক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।

সোমবার (১২ জুন) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, লরি ও মহিষের গাড়িতে করে আগ্নেয়গিরির ছয় কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে লাভা নির্গত হওয়া শুরু হয়। তবে সম্প্রতি এটি আরও তীব্র হওয়ার ফলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দেশটির প্রধান আগ্নেয়গিরিবিদ টেরেসিটো বাকলকোল বলেছেন, এর তীব্রতা বেশি হলে আরও অধিক সংখ্যক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। আগ্নেয়গিরিটি বর্তমানে পাঁচ স্তরের সর্বোচ্চ সতর্কতা পর্যায়ের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। যদিও ধীরগতিতে লাভা নির্গত হচ্ছে তবে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে সোজা ১০ কিলোমিটার ওপরে উঠে গেছে। আলবে প্রদেশের গভর্নর আল ফ্রান্সিস বিছারা বলছেন, ধোঁয়ার ফলে কোনো কোনো এলাকায় খালি চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে স্থানীয় কর্মকর্তারা জ্বলন্ত এ আগ্নেয়গিরি দেখার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করেছেন, যেখানে রোমাঞ্চ সন্ধানকারীরা এর লাভা নির্গত হওয়া দেখে বিস্মিত হতে পারেন। পর্যটকরাও আগ্নেয়গিরির দৃশ্য দেখার জন্য পাহাড়ের চূড়ায় ক্যাম্প করতে শুরু করেছেন।

একজন ফরাসি পর্যটক গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন। কেননা এ বছর ফিলিপাইনে ঘুরতে এসে মেয়নের অগ্ন্যুৎপাতের সঙ্গে তার ছুটির সময় মিলে গেছে। তিনি কাছাকাছি একটি শহরের একটি লুকআউট পয়েন্টে প্রায় এক ডজন পর্যটকের সঙ্গে এটি উপভোগ করেছেন।

ফিলিপাইনে মোট ২২টি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। বাইকোল নামক একটি কৃষি উপদ্বীপে অবস্থিত মেয়ন দেশটির সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে একটি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৪৬০ মিটার উঁচু মাউন্ট মেয়নে শেষবারের মতো অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল ২০১৮ সালে। তারও আগে ১৮১৪ সালে কাগসাওয়া শহরটি এই আগ্নেয়গিরির লাভার নিচে চাপা পড়ে যায়। ১ হাজার ২০০ মানুষ প্রাণ হারান।

Link copied!