পশ্চিম ও উত্তর রুয়ান্ডায় প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও কিছু মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৩ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সির টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও ফুটেজে, প্লাবিত রাস্তায় কাদা-মিশ্রিত পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে এবং বাড়িগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে দেখা যায়।
রুয়ান্ডার পশ্চিম প্রদেশের গভর্নর ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো রয়টার্সকে বলেছেন, “ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছানোই এখন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। একই সঙ্গে আটকে পড়া যেকোনো ব্যক্তিকে আমরা নিরাপদে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। প্রদেশে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ জন।
এ ছাড়া বন্যা ও ভূমিধসের পর কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা জানাননি এই কর্মকর্তা।
উত্তর ও পশ্চিম প্রদেশের হিসেব যুক্ত করে রাষ্ট্রীয় ব্রডকাস্টিং এজেন্সি বলছে মৃতের সংখ্যা ১০৯।
এদিকে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সে রুটসিরো জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে জানান ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো। তার মতে, রুটসিরোতে ২৬ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া নিয়াবিহুতে ১৯ জন এবং রুবাভু ও এনগোরোরেরোতে ১৮ জন করে মারা গেছেন।
হাবিতেগেকো জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে সেবায়া নদীর তীর ছাপিয়ে পানি আশপাশের অঞ্চলে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, “আগের কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে মাটি ইতোমধ্যেই ভিজে গিয়েছিল। ফলে আবারও বৃষ্টি হলে ভূমিধস হয় এবং অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।”
রুয়ান্ডার আবহাওয়া দপ্তর মে মাসে গড় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।
এদিকে রুয়ান্ডার পার্শ্ববর্তী দেশ উগান্ডায়, ভারী বৃষ্টিপাতে একটি এলাকায় ছয় জন মারা গিয়েছে। নিহদের মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের।
আপনার মতামত লিখুন :