মাথার যন্ত্রণা হওয়া বেশ বিরক্তিকর। আবহাওয়ার কারণে কিংবা টেনশন বা চিন্তার কারণে মাথা ব্যথা বাড়তে পারে। মাথার যন্ত্রণা সাধারণত দুই ধরনের হয়। এক ধরণের মাথা ব্যথার কারণ টেনশন বা চিন্তা, আরো একটি হলো মাইগ্রেন।
মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাথার যন্ত্রণা ছাড়াও বমি বমি ভাব, মাথার একটি অংশে ক্রমাগত ব্যথা অনুভূত হয়। আবার প্যানিক অ্যাটাক হলেও মাথার যন্ত্রণা হয়। এটাও মাইগ্রেনেরই অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্যানিক ডিসঅর্ডার এবং অন্যান্য উদ্বেগজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তুলনামূলক ঘন ঘন মাথাব্যথা অনুভত হয়। প্যানিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত অনেক রোগীর যখন প্যানিক অ্যাটাক হয় তখন মাথাব্যথা অনুভত হয়। তাদের ক্ষেত্রে মাথার যন্ত্রণাও তীব্র থাকে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, প্যানিক ডিসঅর্ডার এবং মাথাব্যথাকে প্রভাবিত করে এমন কিছু কারণও রয়েছে। যারা প্যানিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত, তাদের মধ্যে মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের ঘটনা বেশি হয়। আবার যাদের অ্যাগোরাফোবিয়া অথবা হতাশা রয়েছে তারাও ঘন ঘন মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যার সম্মুখীন হন।
গবেষকদের মতে, চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্যানিক ডিসঅর্ডারের উপসর্গগুলো ছাড়াও মাথার যন্ত্রণা এবং ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি প্যানিক ডিসঅর্ডার এবং এর থেকে সৃষ্ট হওয়া মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মাথা ব্যথা হয় এর জন্য কিছু ওষুধ সেবন করতে পারেন। উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ প্যানিক ডিসঅর্ডার আপনার মাথাব্যথার কারণ কিনা তা নির্ধারণ করতে ডাক্তারের প্রয়োজন হতে পারে।
সূত্র: ভেরি ওয়েল মাইন্ড