শিশুর পুষ্টির ব্যাপারে পরিবারের সবাই সচেতন থাকে। শিশুদের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়ে বাবা-মাকেও হতে হয় যত্নশীল। স্বাদমতো খাবার না পেলে শিশুরা খাবার খেতে চায় না। একারণে বিপাকে পড়তে হয় বাবা-মাকেই। শিশুদের ঝোঁক বেশি থাকে জাঙ্ক ফুডের দিকে। স্বাভাবিকভাবে তারা সম্পূর্ণ পুষ্টি পায় না। এ কারণে নানা রকম রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় পরিবারের ছোট্ট সদস্যটি।
শিশুকে এমন খাবার খাওয়ানো উচিত যেগুলো তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং একই সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে।
শিশুদের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পাবে এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানাব এই আয়োজনে-
সবুজ সবজি
মৌসুমি সবজিতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর যাবতীয় উপাদান। এতে থাকে ভিটামিন, মিনারেলস। যা শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই শিশুকে নিয়মিত সবজি খেতে দিন।
ফল
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শিশুকে রোজ ভিটিমিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল খেতে দিন। পেয়ারা, কমলা, কলা, পেঁপে, বেরি, আঙুর, ডালিম ইত্যাদি ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন।
টক দই
রোগ প্রতিরোধে টক দই দারুণ উপকারী। এর মধ্যে থাকা ফাঙাসরোধী উপাদান সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো সংক্রমণ থেকে বাঁচায় এবং হজমের সমস্যা দূর করে। দইয়ের মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘সি’ শিশুর হাড়-দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
প্রোটিন
প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত খেলে শিশুর পুষ্টির ঘাটতি কমবে। অ্যামাইনো অ্যাসিড পুষ্ট করে শরীরের কোষ। তাই মাছ, মুরগি, পনির, ডিম, দুধ শিশুকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে দিন।
বাদাম
আখরোট ও কাঠবাদাম ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। ফুসফুসের নানাবিধ সংক্রমণ রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা করবে বাদাম। তাই টিফিনে বাচ্চাকে দিতে পারেন এই দুই ধরনের বাদাম।
মশলা
মশলার মধ্যে রসুন, আদা, হলুদে প্রচুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো শরীরকে জীবাণুমুক্ত করতে পারে সহজেই। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়ে শিশুর বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।