• ঢাকা
  • সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩০, ১২ শা'বান ১৪৪৬

শিশুদের করোনা পরবর্তী মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ০৯:৫৮ এএম
শিশুদের করোনা পরবর্তী মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম

করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে এখন শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। এমনকি শিশুদের মধ্যে এখন মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে। 

করোনা সংক্রমণের পর শিশুদের মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম একটি গুরুতর অবস্থা। মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম দ্বারা আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ছে। তবে অনেক বাচ্চা যত্ন এবং যথাযথ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে অবস্থার অবনতি হয়। 

কখনও কখনও শিশুদের করোনা সংক্রামিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে অনেকজনের মধ্যে সংক্রমণের গুরুতর লক্ষণগুলো দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটিই হলো মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন। 
শিশুদের প্রচন্ড জ্বর হওয়া, পেটে ব্যথা, বমি এবং ডায়ারিয়া হওয়া, ব়্যাশ, ঘাড়ে ব্যথা, ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁট ফাটা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, অত্যন্ত ক্লান্তি বোধ হওয়া, হাত-পা ফুলে যাওয়া, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এসবই মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের উপসর্গ।

শিশুর মধ্যে এই উপসর্গগুলো লক্ষ্য করা মাত্রই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অন্যথায় মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানান, মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম বাচ্চার হার্ট, রক্তনালী, পাচনতন্ত্র, কিডনি, মস্তিষ্ক, চোখকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় কোনও অঙ্গ ক্ষতি করে। হার্ট অথবা রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার মতো শঙ্কা থাকে।

করোনা আক্রান্ত শিশুর সঠিকভাবে পরীক্ষা করে  মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম শনাক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ব্লাড টেস্ট, ইউরিন টেস্ট, কোভিড টেস্ট, বুকের এক্স-রে,  হার্টের বিভিন্ন টেস্ট, যেমন - ইসিজি এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম, অ্যাবডোমিনাল আল্ট্রাসাউন্ড করিয়ে বাচ্চাদের উপসর্গ এবং টেস্টের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করতে হবে।

শিশুদের  অক্সিজেন, বিভিন্ন ধরনের ঔষধি এবং ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুইডস দেওয়া হতে পারে। যা প্রদাহ কমাবে, রক্ত জমাট বাঁধতে অথবা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিবে না। তবে কিছু কিছু বাচ্চার চিকিৎসার ক্ষেত্রে, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ-এর প্রয়োজন হতে পারে।

বেশিরভাগ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে, সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই বাড়িতে যাওয়ার পরেও, চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন।

সূত্রঃ বোল্ডস্কাই

Link copied!