• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩০, ১২ শা'বান ১৪৪৬

লিভার সিরোসিসের শঙ্কা বাড়ায় ফ্যাটি লিভার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ০৯:৫১ এএম
লিভার সিরোসিসের শঙ্কা বাড়ায় ফ্যাটি লিভার

মরণব্যাধী রোগ লিভার সিরোসিস। দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন এই রোগে ভুগছেন। নীরব ঘাতক এই রোগটিতে প্রাণহানীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।

অনেকের ধারনা ছিল, অ্যালকোহল পানে লিভার নষ্ট হয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, যারা জীবনে কখনও অ্যালকোহল পান করেনি, তারাই বেশি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

অনেকে এই রোগের লক্ষণ বুঝে উঠতে পারেন না।  কেমন করে, কখন চিকিৎসা করতে হবে তাও জানা থাকে না।

ভারতের রুবি জেনারেল হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. প্রেরণা পল্লবী জানান,
বর্তমানে নন অ্যালকোহলিক লিভার সিরোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আগামী ২০-২৫ বছরে সারা বিশ্বে নন অ্যালকোহলিক লিভার সিরোসিস অতিমারির আকার নিতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই রোগটি মোকাবিলা করা  রোগী এবং চিকিৎসকদের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ এই রোগের চিকিৎসায় কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। এমনকি দেরিতে ধরা পড়লে মৃত্যু পর্যন্ত হানা দিতে পারে।

লিভার সিরোসিস কী?

ক্রনিক লিভারের অসুখ থেকে লিভার সিরোসিস হয়। এটি লিভারের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়।  শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করাই নয়, বাচ্চাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়ানোর উপায় হচ্ছে  সতর্কতায় ও সচেতনতা। কীভাবে প্রতিরোধ করা যাবে তা নিয়ে ধারনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটবেলা থেকেই সঠিক লাইফস্টাইলের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিমিত ঘুমের অভ্যাস করতে হবে।
 
ডায়েবেটিস, ডিসলেপিডেমিয়া ইত্যাদি মেটাবলিক রোগ থাকলে নিয়মিত সুগার, কোলেস্টেরল মাপতে হবে। 

ফ্যাটি লিভার থাকলে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়তে পারে যা থেকেই পরবর্তীকালে লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে।

যাদের ওজন বেশি রয়েছে, কোনো ক্রনিক রোগ রয়েছে তাদের নিয়মিত চেক আপে থাকতে হবে। 

প্রত্যেক ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। লিভার ফাংশান পরীক্ষা ও পেটের আলস্ট্রাসোনোগ্রাফি করতে হবে। তাহলেই প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার সিরোসিস ধরা পড়তে পারে। 

লিভার সিরোসিসের উপসর্গ-

প্রাথমিক পর্যায়ে লিভার সিরোসিসে তেমন কিছু বোঝা যায় না। যদি না জন্ডিস বা এই ধরনের কোনো লিভারের অসুখ খুবই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। সাধারণত লিভারর সিরোসিসের শেষের দিকেই জন্ডিস, কালো মল-সহ অন্যান্য উপসর্গ বোঝা যায়। 

কী করতে হবে?

নিয়মিত লিভার ফাংশান পরীক্ষা করানো উচিত। 

লিভারের কোনওরকম সমস্যা বুঝতে পারলেই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

সাধারণত মধ্য বয়সিদের মধ্যে ফ্যাটি লিভার বেশি হয়। এক্ষেত্রে ঠিক সময়ে ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসা করলে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়।


সূত্রঃ হেলথ লাইন

Link copied!