• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘হোটেলে কী করছিলেন জায়েদ-সায়ন্তিকা’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম
‘হোটেলে কী করছিলেন জায়েদ-সায়ন্তিকা’
জায়েদ খান- সায়ন্তিকা- প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গত ৩০ আগস্ট ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় আসেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত শুটিং করার কথা ছিল তার। কিন্তু শুটিং শেষ না করেই হঠাৎ গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় চলে যান তিনি। যা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন সিনেমাটির অভিনেত্রী, অভিনেতা সহ প্রযোজক। তবে, এবার সিনেমার নায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে  কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার প্রযোজক মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। কীভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদার আচরণ আমি করিনি, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’’

সিনেমাটির প্রযোজক আরও বলেন, ‘‘মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য দুপুর ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটি কখনো দেখিনি। এ ছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’’

এর আগে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে জায়েদ খান বলেছিলেন, ‘এসবই ষড়যন্ত্রের অংশ। একদল লোক সবসময়ই জায়েদ খানের খোঁজ রেখে বেড়ায়। জায়েদ কোথায় যাচ্ছে, কখন কি করছে- এসবই জানার চেষ্টা করে। তারা কখনোই চায় না আমি ভালো কিছু করি। সেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই আমার সঙ্গে এসব ঘটছে।’

জায়েদ আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যদি তারা জানতে পারত- সায়ন্তিকা বাংলাদেশে এসে আমার বিপরীতে সিনেমায় কাজ করবে, তাহলে কোনোভাবেই তাকে বাংলাদেশে আসতে দিত না। যেমনটা শ্রাবন্তীর ক্ষেত্রেও ঘটেছিল।’

Link copied!