গুরুতর অসুস্থ চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। শুক্রবার (২৩ মে) এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন ফারিয়া। বলেছেন চিকিৎসার অংশ হিসেবেই সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার আদালত থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। সেদিন কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী।
তবে এই সময়ে যাঁরা পাশে ছিলেন, তাদের উদ্দেশে ফেসবুক পেজের এক স্ট্যাটাসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এই নায়িকা। এর পর থেকে ফারিয়ার আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফেসবুক পোস্টে ফারিয়া লিখেছেন, ‘আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।
চিকিৎসার অংশ হিসেবে এখন কিছু সময়ের জন্য বাইরের সঙ্গে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে—ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি, আপনারা বিষয়টি বুঝবেন। আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারব।’
ফারিয়া আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক দিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে। আপনাদের সকলের প্রতি—আপামর জনসাধারণের প্রতি আমি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ।’
সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের, যাঁদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকাটি এই সময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত নিজের ভেতরের সাহস খুঁজে পেতাম না। আমি আজীবন মনে রাখব এই ভালোবাসা ও নিরন্তর সহমর্মিতার কথা।’
পোস্টের শেষে সবার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফারিয়া লিখেছেন, ‘খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। চলতি বছরের ৩ মে এনামুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন।