৭৪তম মিস ইউনিভার্স জিতলেন মেক্সিকোর ফাতিমা বশ। ১২১ জন প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থান অর্জান করেছেন এই সুন্দরী। আজ শুক্রবার সকালে বিজয়ীর মাথায় ক্রাউন পরিয়েন দেন সাবেক মিস ইউনিভার্স ভিক্টোরিয়া কিয়ের থেইলভিগ। হীরাখচিত এই মুকুটের মূল্য ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার, বা প্রায় ৬৬ কোটি টাকা।
ফাতিমা আগামী এক বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকবেন। এছাড়া আগামী এক বছর তাঁর খাবার, পোশাক, মেকআপ, ফটোশুট থেকে শুরু করে প্রতিটি সফরের হোটেল–বিমান–পরিবহনসহ সব খরচ বহন করবে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন।
বিশ্ব ভ্রমণের জন্য একটি ব্যক্তিগত জেট বিমান ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন ফাতিমা বশ। সরকারি সফর, ফ্যাশন শো, দাতব্য কার্যক্রম বা ব্র্যান্ড শুট সব ক্ষেত্রেই তিনি ভিআইপি প্রটোকলে উড়াল দেবেন এই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে।
সারা বছর মিস ইউনিভার্সকে অংশ নিতে হয় আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন ও মানবিক কাজে। চাইলে বিভিন্ন গ্লোবাল পার্টি, কনসার্ট বা ইভেন্টেও অংশ নিতে পারেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজন করবে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন কর্তৃপক্ষ।
২০০০ সালের ১৯ মে মেক্সিকোর তাবাস্কোর ভিলাহেরমোসাতে জন্মগ্রহণ করেন ফাতিমা বশ। তার পুরো নাম ফাতিমা বশ ফার্নান্দেজ। মাত্র ছয় বছর বয়সে কঠিন বাস্তবার মুখোমুখি হন ফাতিমা। মস্তিষ্ক জনিত জটিল রোগ ধরা পড়ে (ডিসলেক্সিয়া, এডিএইচডি) তাঁর। যা তাঁর শিক্ষাজীবনকে অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দেয়। তবে এই প্রতিবন্ধকতা থামাতে পারেনি ফাতিমাকে। অধ্যবসায় ও দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি বাধাকে শক্তিতে পরিণত করেন তিনি।
ষোল বছর বয়সে ফাতিমা উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টে পাড়ি জমান। সোখানে এক বছরের পড়াশোনা শেষ করে মেক্সিকোয় ফেরেন। ফাতিমার শৈশবের স্বপ্ন ছিল মেক্সিকোর ফ্লোর তাবাস্কো সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট জয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেই স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে ‘ফ্লোর তাবাস্কো’ পুরস্কার জিতে নেন।


































