• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

‘এ যাত্রায় ঢাকা শহর বেঁচে গেলো, তাও মানুষ আল্লাহকে ভয় পায় না’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
‘এ যাত্রায় ঢাকা শহর বেঁচে গেলো, তাও মানুষ আল্লাহকে ভয় পায় না’

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আকস্মিক এই ভূকম্পনে বহু মানুষ বাসা-বাড়ি ও অফিস থেকে আতঙ্কিত হয়ে বাইরে বের হয়ে আসেন। 

ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা দেশের মানুষ। সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই ভূমিকম্পের ভয়াবহা প্রকাশ করেছেন। বাদ যাননি শোবিজ তারকারা। 

নিজের ফেসবুকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল লিখেছেন, ‘আল্লাহ জীবনে এত বড় ভূমিকম্প প্রথমবার অনুভব করলাম। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করো।’ অভিনেতা কচি খন্দকার লিখেছেন, ‘গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে ছিলাম, ভুমিকম্প উঠিয়ে দিয়েছে। ভুমিকম্পের ভয়াবহতা শুনেছি। আজ উপলদ্ধি করলাম। মানুষের পাশে, মানুষ থাকি। মানবিকতা জেগে উঠুক।’ 

এদিকে অভিনেতা আব্দুন নূর সজল, ‘এটা কি? ভূমিকম্প! এটা কি দেখলাম! আল্লাহ সবাই কে হেফাজত করুন।’ রওনক হাসান লিখেছেন, ‘ওরে ঝাকি! এ কি ভুমিকম্প! সবাই ঠিক আছেন তো?’ 

অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু লিখেছেন, ‘এ যাত্রায় ঢাকা শহর বেঁচে গেলো। বাসায় একা ছোটটা (ছোট ছেলে) বাসার পাশে ড্রইং স্কুলে, বড়টা (বড় ছেলে) স্কুলে পরিক্ষা চলছে, মেঝেতে বসে ছিলাম তারপর চারপাশ থেকে মনে হলো সব কিছু ভেঙে আসছে। নীচ থেকে অনবরত ওপর দিকে ধাক্কা চারপাশের কাঁচের ফিটিংস/জিনিসপত্র ঝনঝন শব্দ। হঠাৎ মনে হলো এ যাত্রায় বাচ্চাদের মুখ আর দেখা হলো না। ৬ তলার সিঁড়ি বেয়ে দৌড় তারপর রাস্তা ধরে একছুটে ছোটটার (ছোট ছেলে) স্কুলে। ওরা সবাই ভালো আছে। আলহামদুলিল্লাহ সব কিছুর জন্য।’ 

জামিল হোসেন লিখেছেন, ‘এত বড় ভূমিকম্প। আল্লাহ মাফ করো।’ অভিনেত্রী সামান্তা পারভেজ লিখেছেন, ‘তাও মানুষ আল্লাহকে ভয় পায় না, আলাহর গজবকে পাত্তা দেয় না। ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঘোড়াশাল, নরসিংদী আমার এলাকা।’

এদিকে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল শিরোনামহীন তাঁদের অফিশিয়াল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রচন্ড ভূমিকম্প। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুক। তার দয়া ছাড়া ঢাকা মাটির সাথে মিশে  যেতে বেশি সময় লাগবে না।’ কুদ্দুস বয়াতি লিখেছেন, ‘এই প্রথম ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি অনুভব করলাম।’ 

ভূমিকম্পের বর্ণনা দিয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘আমি থাকি ১৪ তলা বিল্ডিংয়ের ৫ম তলায়। নাস্তা খেয়ে বসে ছিলাম। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি। সমস্ত বিল্ডিং কাঁপছে। জানালা দিয়ে দেখলাম পাশের বিল্ডিং দোলনার মত দুলছে। মানুষজন চিৎকার করছে। আমরা রুমের আড়ার নিচে দাঁড়ালাম। মনে হচ্ছিল পুরা ইমারত ভেঙে পড়বে। আমার দীর্ঘ জীবনে ভূমিকম্পের কম্পন  বহুবার অনুভব করেছি। এমন তীব্রতা কখনও অনুভব করিনি। সবাই ভালো থাকুন।’

অভিনেত্রী বর্ষা লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত। না হইলে আর ৫/৬ সেকেন্ডে কি হতো। একদিন এমন এক জুম্মাবারে, এরকম একটা ঝাঁকুনি দিয়ে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। সূরা যিলযাল-এ তো আল্লাহ সেই দৃশ্যের ভয়াবহতা বলেই রেখেছেন। যারা উঁচু দালানকোঠা থেকে এই ভূমিকম্প অনুভব করেছেন তারা ভালো টের পেয়েছেন এই কম্পন। সেই দিন আসন্ন। অবশ্যই আসবে। ঠিক এমনই কোনো এক জুম্মাবারে।’

বিনোদন বিভাগের আরো খবর

Link copied!