বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজলের ছোট বোন, অভিনেত্রী তানিশা মুখার্জি। জানালেন, তিনি নেপোটিজমকে সমর্থন করেন, এমনকি ‘নেপো বেবিদের’ ভালোবাসেন। তার মতে, বাইরের লোকেরা শুধু ইন্ডাস্ট্রি থেকে নেন, কিন্তু কোনো দায়বদ্ধতা দেখান না।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তানিশা বলেন, বলিউড তো ভারতীয় অভিনেতা, ভারতীয় গল্প নিয়েই তৈরি। অথচ আমাদের কেন বারবার টার্গেট করা হচ্ছে? কেন বারবার বলিউড কেন সমালোচিত হচ্ছে? এটা আমাকে কষ্ট দেয়। কারণ, আমি বলিউড বেবি। আমি আমার ইন্ডাস্ট্রিকে ভালোবাসি, এই হিন্দি সিনেমার দুনিয়ার সবাইকে ভালোবাসি, আমি নেপো বেবিদের ভালোবাসি। তাহলে আমাদের কেন বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে?
তানিশা জানান, ‘সিনেমা,পরিবার থেকে যারা আসেন, তারা ইন্ডাস্ট্রির কথা আগে ভাবেন। তারা শুধু নেওয়ার জন্য আসেন না, বরং ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু যারা বাইরে থেকে আসেন, তারা ইন্ডাস্ট্রির প্রতি অনুগত নন। তারা শুধু নিতে আসেন। হয়তো একদিন তাদের সন্তানেরা এ ইন্ডাস্ট্রির অংশ হলে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাববেন। কিন্তু আমাদের পরিবারগুলো সব সময় ইন্ডাস্ট্রিকে লালন করার জন্য সিনেমা বানায়।
উদাহরণ টেনে তানিশা বলেন, যেমন রোহিত শেঠি বা আমার দুলাভাই (অজয় দেবগন)—তারা অ্যাকশন টিম, স্টান্টম্যানদের দেখাশোনা করেন। এটাই তো ইন্ডাস্ট্রিকে পাল্টা দেওয়ার মতো কাজ।
তানিশা মুখার্জি খোলাখুলিভাবে বললেন উদয় চোপড়ার সঙ্গে বিচ্ছদে নিয়ে। বিশেষ করে, উদয় চোপড়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের শেষ মুহূর্তগুলো তাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছিল।
তানিশা বলেন, আরমান কোলির সঙ্গে ব্রেকআপটা এতটা হৃদয়বিদারক ছিল না। আমি বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম, যখন উদয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শেষ হয়েছিল। আমরা বন্ধু ছিলাম, খুব কাছের ছিলাম এবং একে অপরকে অনেক দিন ধরে চিনি।
তিনি বলেন, আমি এমন একজন মানুষ যে সব সময় ভালো দিকগুলোই দেখতে চাই। ভাবি, যা ঘটে, তা ভালোর জন্যই ঘটে। ভালোবাসার অনুভূতি আমাকে আনন্দ দেয় এবং আমি এই অভিজ্ঞতাগুলো সযত্নে ধারণ করি।
তনিশা ২০০৩ সালে ‘শশশ...’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। এরপর তিনি ‘সরকার’, ‘নীল এন নিক্কি’ ও তামিল সিনেমা ‘উনালে উনালে’তে অভিনয় করেন। ‘উনালে উনালে’ ছাড়া তানিশার কোনো সিনেমাই সেভাবে আলোচনায় ছিল না। ২০১৩ সালে তিনি ‘বিগ বস ৭’-এ প্রথম রানারআপ হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান, যেখানে আরমান কোলির সঙ্গে তার সম্পর্ক আলোচনা সরগরম হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে তিনি একটি কমেডি শোর বিচারক হিসেবেও কাজ করেন। তবে ক্রমাগত ব্যর্থতায় হিন্দি সিনেমায় তার ক্যারিয়ার আর আগায়নি।