• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

সালমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা খারিজ


তপন বকসি
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম
সালমানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা খারিজ

২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে মুম্বাইয়ের পশ্চিম আন্ধেরির ডি এন নগর এলাকার রাস্তায় সালমান খান তার তিন-চারজন দেহরক্ষী নিয়ে সাইক্লিং করছিলেন। সেই সময় এক সাংবাদিক তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে তার সাইক্লিংয়ের দৃশ্য ধারণ করছিলেন। তখন সালমানের দেহরক্ষী নওয়াজ শেখ ওই সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নেন।

এই ঘটনায় ডিএন নগর পুলিশ স্টেশনে সালমান খান ও তার দেহরক্ষী নওয়াজের বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহের কথা উল্লেখ ও মোবাইল কেড়ে নেওয়ার কারণ দেখিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে আন্ধেরির জেলা আদালতে সালমান খান এবং তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা হয়। মামলায় বিচারপতি সালমানকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত থাকার কথা জানান।

এই মামলার বিরুদ্ধে সালমান খান মুম্বাই হাইকোর্টে যান। হাইকোর্ট মামলার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে। শুধু তাই নয়, এই মামলা থেকে সম্পূর্ণভাবে অব্যাহতি চেয়েও হাইকোর্টে আবেদন করেন সালমান ও তার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি ভারতী ডাংরে সালমান ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ওঠা এই মামলাটি খারিজ করে আন্ধেরি জেলা আদালতে সালমানের ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়াকেও অপ্রয়োজনীয় বলে রায় দেন।

আন্ধেরির ডিএন নগর পুলিশ স্টেশনে তার লিখিত অভিযোগে ওই সাংবাদিক বলেন, “ওই ঘটনার সময়ে সালমান আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন এবং তর্ক করেছিলেন।”

সালমানের আইনজীবী আবাদ পণ্ডা আদালতে জানান, কোনো তর্কাতর্কি বা মারধর নয়, সালমান সেদিন তার দেহরক্ষীকে ওই সাংবাদিক যেন তার সাইক্লিংয়ের কোনো ভিডিও না ধারণ করেন সেইজন্য তাকে থামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তারপর বিচারপতি ডাংরে অভিযোগকারী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “দুই মাস আগে আপনার অভিযোগে সালমান বা তার দেহরক্ষী আপনাকে যে মেরেছিলেন, সেই কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু দুই মাস পর এখন আপনার অভিযোগে নতুন করে মারধর করার অভিযোগ আনছেন। আপনি আপনার প্রথম অভিযোগ পরীক্ষা করে দেখুন। আপনার আনা এই দুই অভিযোগের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে।”

এরপর ২০১৯ সালে করা এই মামলা খারিজ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে এই মামলার জন্য তার হাজির হওয়ার নির্দেশ অপ্রয়োজনীয় বলেও উল্লেখ করেন আদালত।

Link copied!