চলচ্চিত্র থেকে পলিটিক্স বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ দিন নিজের ও ছেলের মামলা দেখাশোনার কাজে আদালতে যান ওমর সানী।
তিনি বলেন, ‘১০ বছর আগে থেকে চলচ্চিত্রের ভয়ংকর অবস্থা চলছে। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে চলচ্চিত্র শিল্পীদের পুরো পলিটিক্যাল সাবজেক্ট বাদ দিতে হবে। ডিরেক্টর, প্রডিউসার ও আর্টিস্ট এদেরকে পুরো পলিটিক্স সাবজেক্টটা বাদ দিয়ে চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনা তৈরি করলে এ জায়গাটা ফ্রেশ থাকে। চলচ্চিত্রে যারা ভয়ংকর অবস্থা তৈরি করেছে, কিছু কিছু দাঁড়কাক বাহিরে আছে, এখানেও আছে। তাদের কথা না বলি।’
চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করার কথা জানিয়ে ওমর সানী বলেন, ‘যতই দূরে থাকি না কেন, এ চলচ্চিত্র দিয়েই আমি ওমর সানী। চলচ্চিত্রকে ভালো জায়গায় দেখতে চাই। ভালো কিছু করতে চাই। যে অবস্থায়ই সরকার থাকুক না কেন, আমার মনে হয়, চলচ্চিত্রটাকে বাঁচাতে হলে, শিল্পীদের বাঁচাতে হলে, আমাদের সংস্কৃতিটাকে বাঁচাতে হবে। চলচ্চিত্র উন্নয়নে জন্য কিছু করার দরকার হলে আমি থাকবো, মৌসুমী থাকবে।’
‘কুলি’ খ্যাত এই নায়ক বলেন, ‘চলচ্চিত্রের খারাপ কিছু হলে আপনারা হয়তো কিছুক্ষণ পর ভুলে যান। কিন্তু চলচ্চিত্রের খারাপ কিছু দেখলে আমরা দরজা বন্ধ করে চোখের পানি ফেলি। সেটা সৃষ্টিকর্তা দেখেন। কিছু কুলাঙ্গারের কারণে চলচ্চিত্রের এ অবস্থা।’
সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের নিয়ে যখন ট্রল করে, নেগেটিভিজম করে, আপনাদের ভূমিকাও অনেক সময় নীরব থাকে। এ জায়গা থেকে আমাদের একটা ক্লাস মেইনটেইন করতে হয়। আপনারা সে ক্লাস মেইনটেইন করে আমাদের কাছে এলে সে জায়গাটা তৈরি হয়। ডি-এফ গ্রেডের সাংবাদিক এসে আমাকে শেখাবে, সেটা তো আমি মেনে নেবো না। সাংবাদিকতার একটা কলম দেখলে আমরা একে ৪৭ মনে করতাম। এখন তো অনেকের কাছে কলমই থাকে না। ক্লাস ও পজিটিভ সাংবাদিকতাকে আমরা স্যালুট জানাই।’
আদালতে আসার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের একটি চেকের মামলা ছিল। সেটা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। সে দেশের বাহিরে থাকার কারণে আমাকেই দেখতে হচ্ছে। এ কারণে কোর্টে এসেছি। নীরবে আসি, নীরবে চলে যাই। নীরব থাকতেই পছন্দ করি। ছবি করার জন্য শুধু ক্যামেরার সামনে আসি, এটাই বেটার।’
ওমর সানী আরও বলেন, ‘বাসায়, চুরি ও ডাকাতির মামলার শুনানি আছে। একটা সঙ্গবদ্ধ চক্র ডকুমেন্টস নিয়ে গিয়েছিল। আশা করি, ভালো বিচার পাবো।’