• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

বচ্চন স্যারের চিঠি যত্ন করে রাখব চিরদিন: রশমিকা মন্দানা


তপন বকসি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম
বচ্চন স্যারের চিঠি যত্ন করে রাখব চিরদিন: রশমিকা মন্দানা

ঘন দুটো ভুরু। তার নিচে দুটো উজ্জ্বল চোখ। আর তার সঙ্গে ভোরের গন্ধরাজের পাপড়ির মত হাসি। তার নাম রশমিকা মন্দানা। কর্নাটকের কোদাগু জেলার বিরাজপেট শহরের মেয়ে। বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া কলেজ থেকে জার্নালিজম, সাইকোলজি এবং ইংরেজির স্নাতক। যেখানেই হাত দিচ্ছেন সেখানে সোনা ফলছে। ২০১৬-তে জীবনের প্রথম কন্নড় ছবি ‘কিরিক পার্টি’ সে বছরের সিনেমার ব্যবসায় সর্বোচ্চ সফল ছবি। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রশমিকাকে। একেই হয়ত বলে ভাগ্য। এই ছবি রশ্মিকাকে সাউথ ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল মুভি অ্যাওয়ার্ড এনে দিয়েছে। আর তার ঠিক পরের বছর ২০১৭-তে আরও দুটো কন্নড় ছবি পেলেন তিনি।

২০২১-এর ‍‍`পুষ্পা: দ্য রাইজ‍‍` রশমিকাকে সারা ভারতে অনিবার্য করে তুলল। হিন্দি সিনেমার মক্কা বলিউড থেকে ডাক পেতে শুরু করলেন তিনি। একতা কাপুর সাইন করালেন ‍‍`গুডবাই‍‍`-এর মত আবেগধর্মী পারিবারিক ছবিতে। এই ছবি দিয়েই হিন্দি ছবিতে যাত্রা শুরু রশমিকার। নতুন জীবনযাত্রায় বাবার সঙ্গে যুক্তিতর্ক খুনসুটিতে যে স্বাধীনচেতা মেয়েটা বাবার থেকে দূরে সরে গেলেও মায়ের মৃত্যুর সময় ফিরে আসে বাবার কাছে। ‍‍`গুডবাই‍‍` ছবিতে সেই বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। আর সেই স্বাধীনচেতা মেয়ের ভূমিকায় রয়েছেন রশমিকা। দুদিন আগে মুম্বইয়ের এক থিয়েটারে এই ছবির ট্রেলার লঞ্চে ধরা দিলেন রশমিকা। ‍‍`গুডবাই‍‍` সিনেমা এবং অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। কথা বলেন তপন বকসি।

সংবাদ প্রকাশ: জীবনের প্রথম হিন্দি ছবি। হিন্দি ছবির মক্কা বলিউড বা মুম্বই। কেমন লাগছে সব মিলিয়ে এই পরিবেশ?

রশমিকা: মনে হচ্ছে ক্লাউড নাইনে আছি। একটা স্বপ্নের মধ্যে বাস করছি যেন। চারপাশটা বাস্তব হয়েও যেন পরাবাস্তবের মত লাগছে। নিজের কাছে নিজে অবাক হচ্ছি বারবার। এও কি সম্ভব? দারুণ অনুভূতি।

সংবাদ প্রকাশ: প্রথম হিন্দি ছবিতেই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ। এই অনুভূতিটা আগে শেয়ার করুন প্লিজ।

রশমিকাঃ শুধু আমি কেন, আমার বাবা-মা অমিত স্যারের ফ্যান। যেদিন আমি চিত্রনাট্য পড়ে ‍‍`গুডবাই‍‍` সাইন করলাম, বাড়িতে বাবা মাকে জানালাম, ওরা কি যে খুশি হয়েছিলেন, কী অদ্ভুতভাবে অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন বোঝাতে পারব না। বাড়ি ফেরার পর বাবা-মা আমাকে দুটো ইমিডিয়েট টাস্ক দিলেন। এক, নিজের অভিনয়ের অংশের সংলাপ খুব ভালো করে তৈরি করতে। দুই, অন ক্যামেরা তাকে নির্ভুলভাবে, যতটা পারা যায় নিখুঁতভাবে পরিবেশন করতে। যাতে অমিত স্যারের মত আর্টিস্টের কোনো রকম অসুবিধা না হয়।

সংবাদ প্রকাশ: আর যখন শুটিংয়ের সেটে অমিত স্যারের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি হলেন, কেমন ছিল সেই পরিবেশ?

রশমিকা: সেটাও আর এক চমকপ্রদ ঘটনা। শুটিংয়ের সেটে প্রথম যেদিন অমিত স্যারের মুখোমুখি হলাম ঘটনাচক্রে সেদিনই ছিল আমার জন্মদিন। আমি অমিত স্যারের জন্য সেটে অপেক্ষা করছিলাম। ওনাকে ঢুকতে দেখেই ‍‍`হাই‍‍` বললাম। উনি সেটে ঢুকলেন। আমাকে ক্রস করে সোজা হেঁটে বেরিয়ে গেলেন। কি বলব বা কি করব কিছুই ভেবে পেলাম না। এতটাই নার্ভাস ছিলাম। তার কিছুক্ষণ পর নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করলাম। ভাবলাম উনি হয়ত আমাকে পছন্দ করেননি। কিন্তু শুটিং চলতে চলতে আমাদের সম্পর্কটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। একদিন দেখলাম উনি আমার ‍‍`পুষ্পা‍‍` ছবির একটা পোস্টার নিজেই নিজের টুইটারে পোস্ট করেছেন। অমিত স্যার একজন দারুণ মানুষ। এবং আমি অমিত স্যারের মত একজন লেজেন্ডের অন্য দিকটাও আবিষ্কার করলাম।

সংবাদ প্রকাশ: ‍‍`গুডবাই‍‍` -এর শুটিং শেষ। আর একমাস পরেই এই ছবি রিলিজ হচ্ছে। পুরো শুটিং শেষ হওয়ার পর আপনার স্মৃতিতে শেষমেষ কী থেকে গেল?

রশমিকা: এই ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা আমার হৃদয় জুড়ে থাকবে বহুদিন। কেননা এটাই আমার প্রথম হিন্দি ছবি। আমার মনেহয় প্রত্যেক শিল্পীদের ইচ্ছে থাকে, কবে তিনি অমিত স্যারের সঙ্গে অভিনয় করবেন। আমাকে দেওয়া অমিত স্যারের চিঠি আমি খুব যত্ন করে রেখে দেব আমার কাছে চিরদিন।
 

Link copied!