সালমানের সংসারে শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত বলে মন্তব্য করেছেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা লিমা।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। লিমা বলেন, আমার জন্ম সার্থক হয়েছে সালমান শাহর সঙ্গে ছবি করতে পেরে, বেশ উচ্ছ্বাস নিয়ে এ কথা বললেন সালমান শাহর ছবির নায়িকা লিমা। সালমানের সঙ্গে দুটি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
চিত্রনায়িকা লিমা বলেন, অমর চিত্রনায়ক সালমান শাহর সঙ্গে আমি দুটি ছবিতে কাজ করতে পেরেছি, তাই মনে করি আমার জন্ম সার্থক হয়েছে।
সালমান শাহকে নিয়ে বলতে গিয়ে লিমা বলেন, ভাবতেই পারিনি সালমান শাহর এত ভক্ত আছে বাংলাদেশে। আমি যে তার সঙ্গে দুটি ছবিতে কাজ করেছি, তখন কিন্তু আমার কাছে একটুও মনে হয়নি তিনি এত বড় সেলিব্রিটি। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যখন সালমান শাহ মারা গেলেন- আহা রে কী মানুষ, আর মানুষ- তার পরের দিন জানতে পারলাম, সালমান শাহর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে ১৮ জন মেয়ে মারা গেছে, কোনো পত্রিকায় লিখেছিল ২৮ জন, আর কিছু পত্রিকা লিখেছিল ১৮ জন।
একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা আরো বলেন, তারপর আস্তে আস্তে জানতে পারলাম এত বড় সেলিব্রিটি তিনি ছিলেন, কিন্তু আমার সঙ্গে যে দুটি ছবিতে সালমান কাজ করেছেন, দেখা গেছে একেবারেই সাধারণ একজন ছেলে, কোনো প্যাঁচগোঁজ নেই, একেবারেই সাদামাটা মনের মানুষ ছিলেন সালমান। আমি যে দুটি ছবি করেছি, সালমানের সঙ্গে সেই ছবি দুটির নাম হচ্ছে— প্রেম যুদ্ধ ও কন্যাদান। এ দুটি ছবির শুটিং করার সময় সালমানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি আছে, যা বলে শেষ করার মতো নয়। কোনটা রেখে কোনটা বলব।
তবে খুবই মজার মানুষ ছিলেন সালমান, শুটিং স্পটে সবাইকে হাসাতে পারতেন দারুণ।
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত জানিয়ে লিমা বলেন, আমার মনে কষ্ট লাগে ২৯ বছর পার হলো, তার মারা যাওয়ার রহস্য জানতে পারলাম না। আসলে তাকে কি মেরে ফেলা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছেন, এ বিষয়টা এখনো ক্লিয়ার হলো না। তবে আমার বিশ্বাস— সালমান আত্মহত্যা করতে পারেন না, সালমান কিন্তু আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নন। সালমানকে অনেক মিস করি।
তার সংসারে অশান্তি চলত নায়িকা শাবনূরকে নিয়ে। তবে সালমানের স্ত্রী সামিরা আমারও শুটিংয়ে আসতেন। কিন্তু আমার সঙ্গে বান্ধবীর মতো আচরণ করেছিলেন। যেটাই হোক, আমি সালমান হত্যার বিচার চাই। তাকে যে-ই মারুক না কেন, তার যেন শাস্তি হয়। সালমান আপনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন, দোয়া রইল।
































