গল্পের প্রয়োজনে বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে হয় অভিনয়শিল্পীদের। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যতেও হাজির হতে হয়। চরিত্র বাস্তবসম্মত করে তুলতে অংশ নিলেও অনেকেই বোধ করেন অস্বস্তি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী গিরিজা ওক গডবলে।
‘থেরাপি শেরাপি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন গিরিজা। এতে তার বিপরীতে আছেন গুলশান। তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে গিরিজাকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় সাধারণত ‘ইনটিমেসি কোঅর্ডিনেটর’-রা উপস্থিত থাকেন। পুরো সেটের পরিবেশ এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে অভিনেতা–অভিনেত্রীরা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। আগেই আলোচনাও হয় কীভাবে দৃশ্যটি হবে, কতটা দেখা যাবে, কোথায় কাট হবে। পুরো পরিকল্পনাটা পরিষ্কার থাকে।’’
তবু সব প্রস্তুতি সত্ত্বেও কিছু মুহূর্তে মানসিক অস্বস্তি থেকে যায়, বলেন গিরিজা। ‘‘ক্যামেরা চলা শুরু করলে কখনও মনে হয়, ঠিক করছি তো? থামব নাকি? এই অংশটা ঠিক লাগছে তো? এগুলো অনেকটাই ‘গ্রে জোন’।’’
এদিকে সহশিল্পীর কারণে অনেক সময় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় কঠিন হয়ে পড়ে। তবে গুলশান তার উল্টো বলে জানিয়েছেন গিরিজা। তার সহযোগীতাপূর্ণ আচরণের কারণে শুটিং সহজ হয়েছে বলে জানান তিনি।
যে ছবিতে প্রথম চুমুর দৃশ্যে দেখা যায় অমিতাভকে
গিরিজার কথায়, “গুলশান এতটাই ভাবুক আর পেশাদার! সে নিজের ভ্যানিটি ভ্যান থেকে তিন-চার রকম বালিশ এনে দিল -ছোট, বড়, নরম, শক্ত। তারপর বলল, ‘তুমি যেই বালিশটাতে আরাম বোধ করো, সেটাই নাও।’ দৃশ্য চলাকালীন অন্তত ১৬-১৭ বার জিজ্ঞেস করেছে, ‘তুমি ঠিক আছো তো?’”
আরও যোগ করেন, ‘‘একবার একটা বালিশে অস্বস্তি হচ্ছিল। গুলশান নিজে বলল, ‘চাও তো তুলে ফেলি বালিশটা, আমার কিন্তু কোনো অসুবিধে নেই।’ ওই রকম যত্ন আর সম্মান সত্যিই ছুঁয়ে যায়। অন্য কারও সঙ্গে হয়তো এই দৃশ্যটা করা খুব কঠিন হতো, কিন্তু গুলশান থাকায় আমি একদম নিশ্চিন্ত ছিলাম। তাই এখন খোলাখুলি এসব নিয়ে কথা বলতে পারছি। ও সত্যিই অসাধারণ একজন মানুষ।’’
‘জাওয়ান’-এ শাহরুখ খানের সঙ্গে স্ক্রিনে নজর কেড়েছিলেন গিরিজা। এবার আসছেন ‘থেরাপি শেরাপি’ নিয়ে। এটি পরিচালনা করেছেন শচীন পাঠক।
































