• ঢাকা
  • সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

রুনা লায়লার জন্মদিন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম
রুনা লায়লার জন্মদিন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার ৬৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশেষ এই দিনটিকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগী, গানসংশ্লিষ্ট কাছের মানুষ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা-শুভকামনায় ভাসছেন তিনি।

দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে রুনা লায়লা তার গান দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখছেন। এখনো তার গানগুলো সমকালিন। তিনি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন।

রুনা লায়লা ১৯৬৬ সালে উর্দু চলচ্চিত্র ‘হাম দোনো’তে ‘উনকি নাজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গম মিলা’ গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন। ১৯৬০-এর দশকে তিনি নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে পরিবেশনা করতে থাকেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তিনি জিয়া মহিউদ্দিন শো-তে গান পরিবেশন করতেন এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন।

১৯৭৪ সালে তিনি কলকাতায় সিলেটি গান ‘সাধের লাউ’ এর রেকর্ড করেন। একই বছর মুম্বাইয়ে তিনি প্রথমবারের মত কনসার্টে গান পরিবেশন করেন। এ সময়ে দিল্লিতে তার পরিচালক জয়দেবের সাথে পরিচয় হয়, যিনি তাকে বলিউড চলচ্চিত্রে এবং দূরদর্শনের উদ্বোধনী আয়োজনে গান পরিবেশনের সুযোগ করে দেন।

‘এক সে বাড়কার এক’ চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানের মাধ্যমে তিনি সংগীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সাথে প্রথম কাজ করেন। এই গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি ‘ও মেরা বাবু চেল চাবিলা’ ও ‘দামা দম মাস্ত কালান্দারা’ গান দিয়ে ভারত জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।  

রুনা লায়লার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। তার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে,তার বাবার বাড়ী রাজশাহীতে। বাংলাদেশের বাইরে গজল শিল্পী হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার সুনাম আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন।

চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ শিরোনামের চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক আলমগীরের বিপরীতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এই সিনেমার সূত্র ধরেই আলমগীরের সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া হয় তার। এরপর ১৯৯৯ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

সংগীত অসামান্য অবদানের জন্য স্বাধীনতা পদক, একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননাসহ দেশ-বিদেশের বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা এই সংগীতশিল্পী।

Link copied!