অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি পেশাগত জীবনে সফল একজন অভিনেত্রী। কিন্তু বাস্তবে সংসার জীবনে সেই সফলতা ধরে রাখতে পারেননি। দুই সন্তানের মা শ্বেতা তিওয়ারি ঘর বেঁধেছেন দুইবার। কিন্তু কোনটিই টিকেনি। দুই বার বিয়ে ভাঙলেও দুই সন্তান পলক এবং ছেলে রেয়াংসকে আগলে রেখেছেন নায়িকা। ো
দীর্ঘ সময় ধরে সিংগেল মাদার শ্বেতা। এই যাত্রাটা কেমন তার কাছে? এক সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সত্যি বলতে এইটা দু`দিকে ধারালো তলোয়ারের মতো। দুটি ব্যর্থ বিয়ের জন্য অনেকেই আমার সমালোচনা করেন। অনেকেই আছেন, যারা তিন বা চারটে বিয়ে করেছেন কিন্তু লাইমলাইটে না থাকায় তাদের নিয়ে কেউ আলোচনা করে না। তাই যতটা ইতিবাচক দেখা যায়, বলতে পারো ততটা নেতিবাচকও। মানুষ সেলিব্রেটিদের বেশি দোষ দেয়।’’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘‘সমর্থনের মতো জায়গা বলতে, আমি কখনই কাজ বন্ধ করিনি এবং আমি আর্থিকভাবে স্বাধীন। আমার নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য টাকা আছে এবং বেঁচে থাকার জন্য আমাকে আমার স্বামী বা সঙ্গীর কাছে যেতে হবে না। আমি স্বাধীন বলেই আমার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে আমি একজন কর্মঠ নারী।’’
তিনি বলেন, ‘‘সত্যি বলতে আমি আমার প্রথম বিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। কারণ আমার বেড়ে ওঠার শিক্ষাটা তেমনই ছিল, সব কিছু মানিয়ে নিয়ে চলতে পারার মতো ব্যাপার। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সেই সময়টা নষ্ট করিনি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, যতটা তিক্ত হওয়ার হয়ে গিয়েছে, যতই বাঁচানোর চেষ্টা করি না কেন।’’
একই সঙ্গে অভিনেত্রীর বলে উঠেন, ‘‘বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে আর বিশ্বাস রাখিনা আমি।’’
কেরিয়ারের শুরুর দিকে রাজা চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শ্বেতা। বিয়ের এক বছর পর মেয়ে পলকের জন্ম দেন তিনি। ২০০৭ সালে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে রাজার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় শ্বেতার। এরপর ২০১৩ সালে অভিনব কোহলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী। ২০১৯ সালে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে দ্বিতীয় বিয়েও শেষ হয়েছিল অভিনেত্রীর।