স্কুল-কলেজের সভাপতি কারা হবেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা গেল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
স্কুল-কলেজের সভাপতি কারা হবেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা গেল
ছবি : সংগৃহীত

বেসরকারি স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া আর কেউ হতে পারবেন না। নবম গ্রেড এবং এর ওপরের চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই দায়িত্ব পালন করবেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। এদিকে এই সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলছেন শিক্ষা গবেষকেরা।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ১৮ নভেম্বর সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে গঠন করা হয় অ্যাডহক কমিটি।

এ অবস্থায় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিয়মিত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ ডিসেম্বর থেকে সকল অ্যাডহক কমিটি বাতিল হয়ে যাবে।

এদিকে পরিচালনা পর্ষদের নতুন প্রবিধানমালা করেছে মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সভাপতি হতে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নবম গ্রেডের নিচে নয় এমন সরকারি কর্মকর্তা, পঞ্চম গ্রেডের নিচে নয়, এমন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভাপতি হতে পারবেন।

আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘বিদ্যমান নিয়মে একটি সংশোধন আনা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা অথবা চাকরিরত অথবা অবসরে যাওয়া কর্মকর্তার কথা পলিসি লেভেল থেকে ঠিক করা হয়েছে। শুধু সভাপতি পদটির জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্য পদগুলো আগের মতোই আছে।’

এদিকে এই সিদ্ধান্তকে চরম বৈষম্যমূলক বলছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, সভাপতি হতে সৎ মানুষ হতে হবে। শিক্ষার প্রতি থাকতে হবে ভালোবাসা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘অফিসার কিংবা ডিগ্রিপ্রাপ্ত, এদের প্রতি কী আমরা অনেক বেশি ট্রাস্টেড? আমরা তো দেখেছি বড় বড় ডিগ্রিধারী, বড় বড় পদ-পদবিধারী তারা অনেক দুর্নীতি করেছে। সুতরাং এটি দিয়ে যে রিপ্লেসমেন্ট সিদ্ধান্ত এটি মোটেও ভালো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

Link copied!