• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্ব দর্শন দিবস’ উদযাপিত


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্ব দর্শন দিবস’ উদযাপিত
ছবি: প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দর্শন বিভাগের গোবিন্দ দেব দর্শন কেন্দ্র এবং নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে ঢাবিতে বিশ্ব দর্শন দিবস উদযাপিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দর্শন এমন একটি বিষয় যা কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ, রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রেই দর্শনের প্রভাব বিদ্যমান। বিশ্বায়নের যুগে বিশ্ব সংস্কৃতির প্রভাবে এবং প্রযুক্তির অপব্যবহারে ফলে মানুষের মনস্তাত্বিক পরিবর্তন ঘটছে এবং মানুষ বিবেকবোধ হারিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে সচেতন হয়ে নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

উপাচার্য আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্ভাবনী শক্তি ও অনুসন্ধিৎসু মনোভাব গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সুযোগ দিতে হবে। নিজস্ব চিন্তা ও দর্শনের বিকাশ ঘটাতে শিশুকাল থেকেই সকলকে সমাজের দর্শন উপলব্ধি করার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং উন্মুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে।

দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন এবং দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দাউদ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহম্মদ উল্লাহ্।

‘ছোটদের জন্য দর্শন: প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান। অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান মূল প্রবন্ধে শিশুদের মনস্তত্ত্ব, শিশুদের দর্শন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও সীমাবদ্ধতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে এক র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) গিয়ে শেষ হয়।

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর

Link copied!